অস্বাভাবিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়, প্রয়োজন তদন্তের

অস্বাভাবিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়, প্রয়োজন তদন্তের

অস্বাভাবিক শেয়ার ক্রয় বিক্রয় তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার পর গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে পুঁজিবাজার অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে একটি চক্র নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাসহ আরো বেশ কিছু ইস্যুতে বাজারে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বাজারে বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দিয়ে একটি চক্র ফায়দা লুটছে। অন্যথায় বাজার পতনের অন্য কোনও কারণ নেই।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, এ চক্রটি বাজার স্বাভাবিক গতীতে চলুক তা চায় না। যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। যারা বাজারে এ ধরনের কৃত্রিমভাবে ওঠা-নামায় ভূমিকা পালন করছে তাদের নাম পুঁজিবাজার তদন্ত রিপোর্টে রয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অপর এক মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, যে কোনও ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। অন্যথায় বাজার স্বাভাবিকতায় এটি বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

এর আগে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকেও কারসাজির হোতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিনিয়োগকারী জানান, হঠাৎ হঠাৎ বড় অঙ্কের শেয়ার ক্রয় আদেশ বা বিক্রয় আদেশের বিষয়গুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।

এদিকে বুধবারের বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, পৌঁনে ১টা থেকে পৌঁনে ২টা পর্যন্ত এক ঘন্টার ব্যবধানে ডিএসই’র সাধারণ সূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার ও সোমবারের বাজারেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই এ ধরনের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হলে তা আস্থা শঙ্কটের সৃষ্টি করবে।

এছাড়া বাজারে শেয়ার লেনদেন বিশ্লেষনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দু-একটি হওলাতেই সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করছে। কখনও বেড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করছে আবার কখনও কমে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করছে। নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের দর বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ। মাত্র একটি লেনদেনেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে। অপরদিকে দর কমার দিনেও এভাবেই দর হারায় প্রতিষ্ঠানগুলো।

তাই এ ধরনের শেয়ার লেনদেন পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

 

Source: Banglanews24.com

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর