শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণেই ওয়ালটনের জন্ম হয়নি। আর বি গ্রুপের (ওয়ালটন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলমের কথা এটি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। ওয়ালটনের জন্ম হয়েছে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ঊর্দ্ধে তুলে ধরার জন্য। ওয়ালটন সেটি করার প্রাণপন চেষ্টা করে চলেছে।
গত শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্ট্রিজে ওয়ালটনের মোবাইল ফোন ডিলার ও পরিবেশকদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে ওয়ালটন এখন একটি অতি সুপরিচিত ব্র্যান্ড। ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে ওয়ালটনের বিকল্প এখন শুধুই ওয়ালটন। ওয়ালটন পণ্য এখন শুধুমাত্র বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড নয়, এটি দেশি পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও। মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা ওয়ালটন পণ্য দেশের সবশ্রেণীর মানুষের চাহিদা পূরণ করে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ওয়ালটনের ফ্রিজ, ফ্রিজার, এলসিডি, এলইডি টিভি, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার ও মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট এখন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে। মানুষের আস্থা অর্জন করে মেইড বাংলাদেশ লেখা ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে ও সমান জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আগামী লক্ষ হচ্ছে, ওয়ালটন পণ্য দিয়ে বিশ্ব জয় করা। আমাদের আশা, অচিরেই আমরা সেই লক্ষ্য স্পর্শ করবো।
ওয়ালটনের স্মার্টফোন ‘অ্যান্ড্রয়েড প্রিমো’ বাজারে এসেছে উল্লেখ করে এস এম আশরাফুল আলম আরও বলেন, ক্রেতা ব্যবহারকারীর চাহিদা, রুচি ও ধাবমান প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওয়ালটন যুগোপযোগী পণ্য তৈরি করছে। ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে পণ্য মানোন্নয়নে ওয়ালটনের এই প্রচেষ্টা নিরবিচ্ছিন্ন।
তিনি বলেন, গত কিছুদিনে ওয়ালটন মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যাপক মান্নোনয়ন ঘটেছে। বৈচিত্রময় অনেক ডিজাইন ও মডেল বাজারে এসেছে। আগামীতে ওয়ালটনের নতুন নতুন ডিজাইন আসবে সেগুলোও ক্রেতাদের আগামীদিনের রুচির খোরাক ও চাহিদা পূরণ করবে।
আর বি গ্রুপের পরিচালক এস এম মনজুরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মাত্র কয়েকটি কোম্পানিদাপটের সঙ্গে বাণিজ্য করছে। আমরা স্বপ্ন দেখি এমন একটা সময় আসবে যখন ওয়ালটনের নামও এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেখা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তথা এশিয়ার দেশগুলোর বিশাল বাজার আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমাদের এ সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার করতে হবে।
বিক্রয়কৌশলে পরিবেশকদের আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ালটনের মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার সম্প্রসারণ ও আরো জনপ্রিয় করতে ওয়ালটন ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করি, পরিবেশকদের সহযোগিতায় ওয়ালটনের মোবাইল হ্যান্ডসেট অচিরেই শীর্ষ স্থানে চলে আসবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ওয়ালটন দেশে শিল্পায়ন ও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির মিশন নিয়ে কাজ করছে। তিনি পরিবেশকদের এই মিশনের অগ্রযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানান।
ডিলার ও পরিবেশক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন আর বি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া) হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্ট্রিজের মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের, মোবাইল ফোন ডিভিশানের প্রধান এস এম রেজওয়ান আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা।
পরিবেশকরা ওয়ালটন পণ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন।
এর আগে সারাদেশ থেকে আসা শতাধিক ডিলার ও পরিবেশককে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে ডিলার ও পরিবেশকরা ওয়ালটন হাইটেক ইণ্ড্রাস্ট্রির বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে ঘুরে দেখে উচ্ছ্বসিত হন। পরিবেশকরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ওয়ালটন পণ্যের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে তারাও গর্বিত। আগামী দিনে ওয়ালটন পণ্যকে জনপ্রিয় করতে তারা নিরন্তর চেষ্টা করবেন। তারা আরো বলেন, ওয়ালটন একটি জনপ্রিয় বিপ্লবের নাম। এই বিপ্লবে তারাও সঙ্গী থাকবেন।