তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সৃষ্ট চলমান সংকট নিরসনে নতুন ফর্মুলা প্রকাশ করেছেন নতুন রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
তিনি বলেছেন, “নির্বাচনকালীন কে সরকার প্রধান থাকলেন তা মুখ্য বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশনকে যদি শক্তিশালী করা যায়, তাহলে সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব। এজন্য সরকারি ও বিরোধী দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।”
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ফর্মুলা প্রকাশ করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “অন্তর্বর্তী কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কোনোটাই র্বতমান সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণের উপায় হতে পারে না।”
তিনি বলেন, “যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরে আসে তারপরও এর প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আবারো নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে। তার মানে সমস্যা লেগেই থাকবে। তার চেয়ে একবারেই এই সমস্যা সমাধান করে ফেলা যাবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে, যদি নির্বাচন কমিশনকে শক্তি করা যায়।”
ব্যারিস্টার হুদা বলনে, “নির্বাচনকালীন রাষ্ট্রপতি যদি নির্বাচন কমশিনকে সকল মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন, তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।”
তিনি বলেন, “সংবধিধানে বলা হয়েছে, নির্বাচন করার দায়িত্ব ইসির কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লোকবল সংকটে পড়েন তারা। আর তখনই ইসি সরকাররে সহযোগিতা চায়। কিন্তু যখনই ইসি সরকারের সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচন করার কাজ শুরু করে, তখনই বিরোধীদল ইসিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করে, যা একটি গণতান্ত্রকি রাষ্ট্রে রাজনৈতিক দলের কাছে আশা করা যায় না।”
তিনি আরো বলনে, “দুই দলের এই মুখোমুখি অবস্থার কারণে দেশে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। আর দেশকে সে সংঘাতময় অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্যই আমরা বাংলাদশে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করেছি।”
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংসদ বহাল রেখে যে নির্বাচন করার কথা বলা হয়ছে, তা বাতিল করে ত্রয়োদশ সংশোধনী অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিন পর নির্বাচন করার দাবি জানান তিনি।