উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী সুরক্ষিত অসামরিক নিরপেক্ষ এলাকা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন এক পক্ষত্যাগী উত্তর কোরীয় সেনা।
সীমান্ত অতিক্রমের আগে দুই উর্ধ্বতন দুই সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই সেনা।
বর্তমানে পক্ষত্যাগী ওই উত্তর কোরীয় সেনা সেনা বাহিনীর হেফাজতে আছে বলে জানিয়েছেন সিউলস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এক মুখপাত্র।
তবে উত্তর কোরীয় সেনার দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও সীমান্ত অতিক্রম করে ওই সেনার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের আগে উত্তর কোরীয় প্রান্ত থেকে ছয়টি গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন সীমান্তের ওই স্থানে কর্তব্যরত দক্ষিণ কোরীয় সীমান্তরক্ষীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনহাপ নিউজ এজেন্সি জানায় তারা দুই উত্তর কোরীয় সেনাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে কোনো ধরণের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি।
কোরীয় যুদ্ধের পর দুই কোরিয়াকে বিভক্ত করা ২৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আসামরিক অঞ্চল সামরিক দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং সামরিকীকৃত সীমান্ত এলাকা।
এ সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রান্ত থেকে কোনো সেনার পক্ষত্যাগের ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিলো ২০১০ সালে। এমনিতে প্রতিবছরই শত শত উত্তর কোরীয় দেশত্যাগ করলেও দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা খুবই বিরল। মূলত উত্তরের চীন সীমান্ত দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন উত্তর কোরীয়রা।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সর্বশেষ ১৯৫৩ সালে যুদ্ধ হলেও এখনও কাগজে কলমে যুদ্ধে লিপ্ত এই দুই দেশ। যুদ্ধে বন্ধে তাদের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে।