মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা ও ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজায় ১৯ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার তারল্য চাহিদা তৈরি হবে। এর মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বাকি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা পুনঃসরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদার বিপরীতে মজুদ আছে ২৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশ গুপ্ত অসীম কুমার বাংলানিউজকে জানান, ঈদ এবং পূজাকে কেন্দ্র করে আমরা শাখা অফিসগুলো থেকে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য চাহিদা পেয়েছি। এর মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা নতুনভাবে সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি টাকা পুরনো নোট নতুন সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে এর শাখা অফিসগুলোর কাউন্টার থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন নোট বিতরণ শুরু করবে। চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে নোট পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে। একইভাবে তফসিলি ব্যাংকগুলোতেও নতুন নোট চাহিদা মোতাবেক যাচ্ছে।
দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, “গত ঈদে প্রায় ১৬ হাজার কোটি নগদ টাকার চাহিদা হয়েছিল। এবার প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ছাড়া হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য শাখা থেকে ছাড়া হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, ব্যাংকগুলোর সব শাখার বাইরে রাজধানীর বিশেষ এলাকাগুলোর প্রায় ১৫টি শাখা থেকে নতুন নোট সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সে শাখাগুলো এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
এদিকে ঈদ ও পূজাকে কেন্দ্র করে জাল নোট চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে ব্যাপারে সর্তক রয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ সংক্রন্ত কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠক করেছে। সেখান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংক এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যোগে জাল নোট সনাক্তাকারী মেশিন বসানো হবে।
অসীম কুমার বলেন, “আমরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে পরামর্শ দিয়েছি।”