দেশেই জুতা ও বাইসাইকেল বানাবে নিটল-টাটা

দেশেই জুতা ও বাইসাইকেল বানাবে নিটল-টাটা

ভারতের বিখ্যাত শিল্পগ্রুপ টাটা এবং বাংলাদেশের নিটল নিলয় গ্রুপ শিগগির দেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করতে যাচ্ছে জুতা ও বাইসাইকেল। এ পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও রফতানি করা হবে।

অবশ্য ২০১০ সালের ১১ এপ্রিলেই এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ওই দুই কোম্পানি।

চুক্তি অনুযায়ী, টাটা বাংলাদেশে জুতা ও বাইসাইকেল কারখানা স্থাপন কর‍ার কথা। আর এখান থেকে এসব পণ্য সরাসরি রফতানি করার কথা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় তিন বছর পর তা আলোর মুখ দেখছে।

জুতা এবং বাইসাইকেলের ব্র্যান্ড নাম Ôনিটল-টাটাÕ হওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ|

মাতলুব আহমেদ বলেন, “প্রস্তাবিত নামে জুতা আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপারে মাতলুব আহমেদ বলেন, “জুতা উৎপাদনখাতে বিনিয়োগ প্রায় দেড় কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আর সাইকেল উৎপাদনের জন্য প্রথম ধাপে ১ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে।”

২০১০ সালে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে প্রতি দিন ৫ হাজার জোড়া জুতা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি। আর এতে শেয়ারের সিংহভাগ নিটল-নিলয় গ্রুপের থাকবে বলে আশা করছেন মাতলুব আহমেদ।

টাটা বর্তমানে আফ্রিকার বাজারে বৃহৎ পরিসরে সাইকেল বাজারজাত করে আসছে। পাশাপাশি এশিয়ার বাজারেও বাইসাইকেলের ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

টাটা ইন্টারন্যাশনাল চামড়াজাত পণ্য তৈরী ও রপ্তানী করে থাকে। খুচরা বাজারে টাটা ইন্টারন্যাশনালের ‘তাসি’ ব্র্যান্ড নামের জুতা ও চামড়া পণ্যের উপস্থিতি রয়েছে।

ভারতের টাটা গ্রুপ এবং বাংলাদেশের নিটল নিলয় গ্রুপের মধ্যে শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯১ সালে নিটল নিলয় দেশের বাজারেও টাটার বিভিন্ন যানবাহন বাজারজাত করা শুরু করে।

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর নিটল নিলয় গ্রুপের ভারত থেকে টাটার ২ হাজার ন্যানো গাড়ি আমদানির পরিকল্পনা করছে।

টাটা ইন্টারন্যাশনালের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপ এর আগে বাংলাদেশে ২৪ লাখ টন স্টিল উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা, দশ লাখ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সার কারখানা এবং গ্যাস চালিত ১ হাজার মেগাওয়াট এবং ৫শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলো। ৩শ’ কোটি ডলারের প্রস্তাবিত চুক্তিটি ২০০৮ সালে বাতিল হয়।

অর্থ বাণিজ্য