পুলিশের মারধর ফারুকের ক্ষতিপূরণ মামলা, শুনানি ৩০ অক্টোবর

পুলিশের মারধর ফারুকের ক্ষতিপূরণ মামলা, শুনানি ৩০ অক্টোবর

স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সাতজনের কাছে ১০ কোটি টাকা মানহানির ক্ষতিপূরণ চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। আগামী ৩০ অক্টোবর মামলার গ্রহণযোগ্যতার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছর ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে পুলিশি হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় ফারুক এ মামলা করেন।

জয়নুল আবদিন ফারুকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির মামলাটির গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য  ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

এ সময় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ফারুক নিজে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আরও জানান, ওইদিন মোহাম্মাদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব সরকার বিরোধী দলীয় চিফ হুইপকে “চড়াইয়া দাঁত ফালাইয়া দিব (চড়িয়ে দাঁত ফেলে দেবো)” বলে গালি দেন। একজন সম্মানিত সংসদ সদস্যকে পুলিশের একজন কর্মকর্তা এ ধরনের গালি দেওয়ায় ও লাঞ্ছনা করায় দেশ-বিদেশে চিফ হুইপের মানহানি ঘটেছে। এ কারণে মামলাটি করা হয়েছে।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মাদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব সরকার, গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার ওবায়দুল হক ও তেজগাঁও জোনের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বিবাদীদের এহেন কার্যকলাপ বাদীর সারা জীবনের অর্জিত সুনাম যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা, শারিরীকভাবে নির্যাতন করে বাদীর জীবন হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ঘটিয়ে ৩ কোটি, বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ ও বাদীর চিকিৎসা বাবদ ২০ লাখসহ সর্বমোট ১০ কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ৬ ও ৭ জুলাই বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ফারুকের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটেও যায়।

ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১২ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ওবায়দুল হক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে ফারুককে লাঠি দিয়ে আঘাতকারীকে পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি। তবে “তুই কি অ্যাকশন নিবি…“ (উচ্চারণ অযোগ্য)“, বলে চিফ হুইপ গালি দেওয়ায় বিবাদী বিপ্লব সরকার চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুককে “চড়াইয়া দাঁত ফালাইয়া দিব …(উচ্চারণ অযোগ্য )” বলে  গালি দিয়েছিলেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

রাজনীতি