স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস। আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই নয়াপল্টনের অফিস ছেড়েছেন অবরুদ্ধ নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান শাহীনা আকতার কাননের বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানও হয়েছে সেখানে। তবে ভয় কাটেনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের। এখনো পার্টি অফিসে খুব কম নেতা-কর্মীই আসা-যাওয়া করছেন।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা ও পুলিশের সংখ্যা নেহায়েতই হাতে গোনা। অফিসের গেট আগলে বসে থাকা পুলিশও সরে গেছে দূরে।
আশপাশে সীমিত পুলিশের অবস্থান থাকলেও ঢিলেঢালা সময় কাটতে দেখা গেছে তাদের। কোন রায়ট কার বা জলকামানও চোখে পড়েনি। পুলিশের একটি গাড়িতে কেবল উদ্দেশ্যহীন চলতে দেখা গেছে।
তবে এদিনই সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে ভয় পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
বস্তুত গত মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পর থেকেই শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ওই রাতেই পল্টন থানায় দায়ের করা দুই মামলায় যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সেক্রেটারি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সেক্রেটারি সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারি বাবু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল, ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ পার্টি অফিসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
বুধবার সকালে আলাল পার্টি অফিস থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেফতার হলে ভেতরে অবরুদ্ধ নেতাকর্মীরা আর বের হওয়ার উদ্যোগ নেননি।
মঙ্গলবারের মামলার আসামি না হলেও তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রী দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও থেকে যান পার্টি অফিসে।
বুধবার সন্ধ্যায় আড়াই ঘণ্টার জন্য বেরিয়ে ফের পার্টি অফিসে ফিরে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার আদালতে ওই মামলার জামিন মঞ্জুর হলে রাতেই পার্টি অফিস ত্যাগ করেন তারা।
আজ শুক্রবার পার্টি অফিসে আর আগের তিন দিনের উত্তেজনা দেখা যায়নি। এমনকি সকালে এক যোগদান অনুষ্ঠানও হয় পার্টি অফিসে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাতে বক্তৃতাও করেন।