গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই শীর্ষ দশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অবস্থান ছিল উল্লেখযোগ্য।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়া যাবে-সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা ২০০১-এ এমন সংশোধনী আনার খবরে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ডের বিধিমালায় সংশোধন এনে লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। এখন থেকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। যদিও এ বিধানটি এখন জনমত যাচাইয়ে রয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত উপরোক্ত কারণেই বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন সব ধরনের বিনিয়োগকারীরা। যদিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ প্রবণতা বিরাজ করছে। তবে এ সপ্তাহের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।
শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৩৫টি কোম্পানি দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল। এর মধ্যে ২৪টিই মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আর বাকি ১১টি বিভিন্ন খাতের কোম্পানি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহ ধরে দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশে থাকা কোম্পানিগুলো হল- এনসিসিবি এল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১, দ্বিতীয় আইসিবি, তৃতীয় আইসিবি, চতুর্থ আইসিবি, পঞ্চম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ষষ্ঠ আইসিবি, সপ্তম আইসিবি, অষ্টম আইসিবি, আইসিবি দ্বিতীয় এনআরবি, আইসিবি তৃতীয় এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রামীণ স্কীম-২, ইবিএল প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও প্রথম প্রাইম ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এ তালিকায় আরো রয়েছে- এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রামীণ-১, এইমস প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়ার্স প্রোভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১: স্কিম-১, এসইবিএল প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবিএল প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রথম বিএসআরএস এবং আইসিবি ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
আর সপ্তাহজুড়ে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হল- ডেল্টা স্পিনিং, কোহিনুর কেমিক্যাল, মুন্নু সিরামিকস, সিএমসি কামাল, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, বিএসসিসিএল, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, বিডিকম, ইউসিবিএল, এপেক্স এডালচি ও মিথুন নিটিং।
এসময়ে আরো লক্ষ্য করা গেছে, এসব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধির প্রবণতা তো ছিলই, অনেক মিউচ্যুয়াল ফান্ড দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারপরও খুব বেশি দর বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ, বিশ্বের সব দেশেই মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে। এসব ফান্ড সম্পদ মূল্যের কাছাকাছি লেনদেন হয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হওয়া উচিৎ না।