সিরিয়ার হোমস শহরে বিস্ফোরণে এক ফরাসি সাংবাদিকসহ নয় জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য সিরীয় কর্তৃপক্ষ গত বুধবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীদের হোমস শহরে নিয়ে যায়। সেখানে সাংবাদিকদের ওপর একটি মর্টারের গোলা বিস্ফোরিত হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হোমস শহরকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নিহত ফরাসি সাংবাদিক গিলেস জ্যাকুয়ার ফ্রান্স-২ চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন।
দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় এই প্রথম কোনো পশ্চিমা সাংবাদিক নিহত হলেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই বিস্ফোরণে ফরাসি সাংবাদিকসহ ৯ জন নিহত এবং একজন বেলজিয়ান সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
সাংবাদিক দলের পাশ দিয়ে একটি সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অতিক্রমের সময় এই বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক ইয়ান ব্ল্যাকও বিস্ফোরণস্থলে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইন জুপে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে রাজধানী দামেস্কে গত বুধবার একটি র্যালি আয়োজনের অল্প সময় পরই হোমস শহরের এই হতাহতের ঘটনা ঘটল বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম।
প্রেসিডেন্ট আসাদের জনপ্রিয়তা এবং দেশের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববাসীকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই র্যালি আয়োজনের উদ্দেশ্য।
এদিকে সিরিয়ার সহিংসতা বন্ধ না হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশটিতে এখনই নতুন করে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে আরব লিগ।
বর্তমানে সিরিয়ায় আরব লীগের ১৬৫ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন। তবে এর আগে সিরিয়ায় পর্যবেক্ষক সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
Source: Banglanews24.com