দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেইসাথে কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় বৌদ্ধমন্দির ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) হয়ে এ অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে বলেছেন, দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী এসব ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর বিচারকরা এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।
উল্লিখিত এলাকাগুলোর জনগণের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন কেন ব্যর্থ হলো তার জবাব দিতে সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সাবাজারের ডিসি ও এসপি, চট্টগ্রামের ডিসি ও এসপি, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আদালত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ও সংবিধানে সমানাধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একই ঘটনায় গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রামুর স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাড. জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গত শনিবার, রোববার রাতে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ায় বৌদ্ধমন্দির ও বসতবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় মামলা ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।