লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে ভারতীয় কুচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ ফেরত দিয়েছে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকের ঘটনা এটি।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম জেলার পানিমাছকুঠি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আব্দুল খালেক (২৫), তার স্ত্রী কুলসুম বিবি (২৩), ছেলে কাইয়ুম হোসেন (৭), একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর ঢলডাঙ্গা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে আব্দুল বারিক (২৭), দিনাজপুরের পাহারপুড় গ্রামের সুকুমার রায়ের ছেলে জোগেশ্বর রায় (১৯), লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মুগলীবাড়ী গ্রামের নান্টু আলীর ছেলে জবায়দুল আলী (২৬), একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আক্কাস আলী (২৭), ঘোনাবাড়ী গ্রামের মফর উদ্দিনের ছেলে আবেদ আলী (২৫), দহগ্রাম ইউনিয়নের মোজাহার হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩) ও আব্দুল আউয়াল আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামকে (২৬) ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ বিকেলে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় লালমনিরহাট-৩১বিজিবি ব্যাটলিয়নের বুড়িমারী স্থলবন্দর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাবিউল ইসলামসহ চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের পর তাদের ফেরত দেওয়া হয়। সর্বোনিম্ন ২ বছর থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত সাজা ভোগ শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের ফেরত দেয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, “কাজের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে বিনাপাসপোর্টে প্রবেশের দায়ে বিভিন্ন সময় তাদেরকে আটক করে ভারতীয় বিএসএফ। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”