খালেদার প্রবেশ পথ সাজছে মাঝরাতের আঁধারেও

খালেদার প্রবেশ পথ সাজছে মাঝরাতের আঁধারেও

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রবেশ পথ রাতের আঁধারেও সাজছে। শনিবারের জনসভাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের নেতা-কর্মীরা তাদের কাজে ব্যস্ত থাকছেন সারারাত। সপ্তাহ ধরে চলছে তাদের এই কর্মকাণ্ড।

পুলিশেরও কোনো বাধা নেই বলে জানায় তারা।

বুধবার দিনগত রাত দু’টার দিকে শহরের পৌরসভা রোড ও থানা রোড ঘুরে দেখা যায়, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসহ পোস্টার টাঙানো হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলের প্রধানের ছবির পাশে নিজের হাস্যোজ্জল ছবি সেঁটে টাঙিয়ে দিচ্ছেন এখানে ওখানে।

পৌরসভা ও থানা রোড হয়েই খালেদা যাবেন জনসভার জন্য নির্দিষ্ট হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। যাকে অনেকেই বলেন ‘নিউ ফিল্ড’।

অন্ধকারে হঠাৎ গাছে শব্দ হলো। তাকালেই চোখে পড়লো, ভয়ংকর ঝুঁটি নিয়ে ঝুলে ঝুলে সেখানেও পোস্টার টাঙাচ্ছেন অতি উৎসাহী ক’জন।

দেয়ালে চিকা মারতে দেখে ছবি তুলতে এগিয়ে গেলে বাধা দেওয়া হলো। সঙ্গে কারণও স্পষ্ট করে দিলেন তারা। “আপনারা তো জানেন, দেয়ালে চিকা মারা নিষেধ। তবু মারছি। কিন্তু ছবি তো তুলতে দেব না। অন্য কোনো ছবি নেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

ইলিয়াস আলীর কথা হবিগঞ্জের মানুষ ভোলেনি। সম্মানের সঙ্গে তার পোস্টার টাঙানো হয়েছে দলের চেয়ারপারসনের পোস্টারের সঙ্গে।

এদিকে এসব প্রস্তুতি কাজে প্রশাসনের লোকজন বাধা দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “কেউই কোনো বাধা দিচ্ছে না। এখানে আমাদের কাজে বাধা দেওয়ার সাধ্যও কারো নেই।”

তাজুলের কথার ফাঁকেই আরেকজন কর্মী বলেন, “আমাদের কেউ বাধা দিলে উল্টো তারা বাধা পাবে। তাদের বাধা আমরা শুনবো নাকি!”

একই বক্তব্য ছাত্রদলের কর্মী হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র রিঙ্কুরও।

তিনি দাবি করেন, এখানে বিএনপির কাজে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই এলাকা বিএনপির।

শহরে প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার তোরণ হয়েছে বলে উপস্থিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দাবি করলেন।

রাজনীতি