মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে ‘ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন’ আইনের খসড়া

মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে ‘ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন’ আইনের খসড়া

আগামী ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ‘ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন’ আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের অগ্রগতি সম্পর্কিত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ আমরা স্টক একচেঞ্জকে নতুনভাবে গড়ার পদক্ষেপ নিলাম। ডি- মিউচ্যুয়ালাইজেশনের খসড়াটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের পর এ বিষয়ে মতামত গ্রহণে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হতে পারে।

‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন পাস করা হবে’ বলে পুনরায় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘তবে আইন পাসের পর তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা এসইসি ও ডিএসই মিলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ঠিক করবে।’’

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে এসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল  হোসেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারি, ডিএসই’র সভাপতি রকিবুর রহমান, সিএসই’র সভাপতি আল মারুফ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত দেড় বছর ধরে স্টক এক্সচেঞ্জে অনেক সংস্কার করা হচ্ছে, অনেক বিধি-নিষেধ প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন একটা শেষ পর্যায়ে রয়েছি আমরা।’’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনটি আইনের সংশোধনী আনা হবে। এর মধ্যে এসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জ’র আইনে সামান্য সংশোধনী আনা হবে।

ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের খসড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্টক এক্সচেঞ্জ’র মালিকরা শেয়ার ব্যবসা পরিচালনা থেকে পৃথক হবেন। আমরা এটা করতে চাচ্ছি তাদের (স্টক এক্সচেঞ্জ) সহযোগিতা নিয়ে, কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে নয়।’’
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জ’র ৬০ শতাংশ মালিকানা নন-ট্রেডারদের দিতে হবে এবং ট্রেডাররা ৪০ শতাংশ শেয়ার রাখতে পারবেন। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটা সম্পন্ন করতে হবে। তবে আগামী ৫ বছর পর ট্রেডিং লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। তখন সেটা ওপেন করে দেওয়া হবে।’’

‘‘এ বিষয়ে স্টক একচেঞ্জ’র মালিকরা বলছেন, ৫ বছর পরের বিষয়টি তাদের বোর্ডের হাতে ছেড়ে দিতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কিভাবে হবেন, ক্লিয়ারিং হাউজ ও ভ্যালুয়েশন কিভাবে হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’

দুয়েকটি বিষয় কাল-পরশুর মধ্যে ঠিক করে ফেলা হবে। অন্যান্যের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ মালিকরা কর অবকাশ সুবিধা চাচ্ছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে এসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এসইসি ১০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করতে পারবে না।

অর্থ বাণিজ্য