সোনালী ব্যাংক: ১১ পরিচালকের সম্পদের হিসাব চাইবে দুদক

সোনালী ব্যাংক: ১১ পরিচালকের সম্পদের হিসাব চাইবে দুদক

সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামসহ ১১ জন পরিচালকের সম্পদের হিসাব চাইবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “চেয়ারম্যানসহ পর্ষদের অন্য পরিচালকদের সম্পদের হিসাব চাইবে দুদক। এ নিয়ে আলাদা অনুসন্ধান  হবে।”

গোলাম রহমান বলেন, “হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ অন্য পরিচালকদের `প্রত্যক্ষ` সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে না আসলেও দুদকের পরবর্তী তদন্তে এ বিষয়ে আরও বিষদভাবে খতিয়ে দেখা হবে।”

দুদকের একটি সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলাম, পরিচালক মো: শহিদুল্লাহ মিঞা, এএসএম নাঈম, এমডি প্রদীপ কুমার দত্ত এবং সাবেক পরিচালক সুভাষ সিংহ রায়, কাশেম হুমায়ূন, মো: আনওয়ার শহীদ, কেএম জামান রোমেল, সাইমুম সরওয়ার কমল, সত্যেন্দ্র চন্দ্র ভক্তের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে চলতি মাসে নোটিশ দেওয়া হবে। পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর সম্পদের অনুসন্ধান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে গোলাম রহমান জানান, দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে পরিচালনা পর্ষদের কারো বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না।

মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সহসাই মামলা হবে। আশা করি, বৃহস্পতিবার দুপুর একটার মধ্যেই জানতে পারবেন।”

মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ এবং চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবিরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হবে বলে তিনি জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে রুপসী বাংলা শাখা থেকে ১৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয় উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।”

দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা হবে বলে তিনি জানান।

অর্থ বাণিজ্য