শুরু হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রেমীদের মহোৎসব দ্বাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক দারিয়ুশ মেহেরজুই, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সৈয়দ মারগুব মোরশেদ, উৎসব পরিচালক আহমেদ মোস্তফা জামাল, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর প্রমুখ।
এ সময় অতিথিরা এই উৎসবকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দর্শকদের জন্য একটি মহোৎসব বলে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, এই উৎসব দেশি-বিদেশি ভালো সিনেমা দেখার সুযোগ করে দেয়। তারা আশা করেন, ভবিষ্যতে এই উৎসবটি আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্লিয়ার ম্যাককার্থির পরিচালনায় অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র ‘দ্য ওয়েটিং সিটি’ প্রদর্শন করা হয়।
রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে এবারের উৎসবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হবে।
উৎসবে অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার ১৭টি ছবি নিয়ে প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র নির্ধারণে থাকছে জুরি বোর্ড। রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগে থাকছে চলচ্চিত্রকার দারিউস মেহেরজুইয়ের ৬টি এবং ইলমাজ গুনের ৫টি চলচ্চিত্র ও ফরাসি চলচ্চিত্রকার পিয়েরে কুলিবিউফরের ৭টি চলচ্চিত্র নিয়ে থাকছে আরেকটি রেট্রোস্পেকটিভ।
প্রয়াত নির্মাতা তারেক মাসুদের ৫টি চলচ্চিত্র নিয়ে রয়েছে ট্রিবিউটস বিভাগ। চিলড্রেনস বিভাগে দেখানো হবে ৫টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। শিশুদের জন্য এসব প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ শাখায় ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকটি রবীন্দ্র চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগে বাংলাদেশের ৮টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। এটি প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আখতারুজ্জামানের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ভেন্যুগুলো হলো- কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন, কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন।
Source: Banglanews24.com