আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১২ সালের মধ্যে শীর্ষ যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা হবে। এজন্য খুব দ্রুত আরো একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ’৭১-এ যারা সম্ভ্রমহানি, হত্যা ও লুটপাট করেছে ধর্মীয় দৃষ্টিতে তাদের বিচার করা ফরয এবং ঈমানি দায়িত্ব। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটা ধর্মের নির্দেশ। যারা বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জামায়াত নেতা গোলাম আযমের জামিন বাতিল করে ‘বয়স বিবেচ্য নয়, অপরাধ বিবেচ্য বিষয়’ আদালতের এমন আদেশকে তিনি ঐতিহাসিক আদেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বস্তি এসেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গোলাম আযমের গ্রেপ্তার নিয়ে জামায়াত এখনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। যদি তাদের লজ্জা থাকে, তবে তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।
কামরুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে কলেবরেটর অ্যাক্ট করে ৭৩টি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ২২ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ, ৫৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছিলেন। ১১ হাজার ২শ’ জন কারাগারে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে তাদের রাজবন্দী হিসেবে মুক্তি দিয়ে এবং মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কাজেই ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন’ একথা বলে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ।
কামরুল বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তন না করলে স্বাধীনতার পূর্ণতা আসতো না। ১৭ মার্চ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ থেকে মিত্র বাহিনী সরানোর ঘোষণা দিতেন না। পৃথিবীর কোনো দেশে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মিত্র বাহিনী সরানোর নজির নেই।
‘বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা ও বীরাঙ্গণা কথা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদের আহ্বায়ক ডা. খালেদা বেগম।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Source: Banglanews24.com