ক্রিকেটের দেবতা রসিকতাই করলেন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। বিশ্বকাপ থেকে তাদের এভাবে বিদায় দেওয়াটা রসিকতার চেয়েও বেশি কিছু। বলতে পারেন নিষ্ঠুরতা। তা না হলে এমন হবে কেন? দুটো ম্যাচ সুপার ওভারে হেরে গেলো নিউজিল্যান্ড!
এই বিশ্বকাপে সুপার ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছে দুটো ম্যাচ। তাতে প্রতিপক্ষ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। শীর্ষ আটের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে শেষবল পর্যন্ত আটকে রেখেছিলো কিউই শিবির। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে তারা ১৭৪ রান তুলে ছিলো সাত উইকেটে।
শ্রীলঙ্কা ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং তিলকারত্নে দিলশানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো। মাহেলা ৪৪ ও দিলশান ৭৪ রানে আউট হয়ে গেলে খেলার নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিয়ে প্রায় ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার অবস্থা। কিন্তু স্বাগতিক দল শেষবল পর্যন্ত খেলে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে। সুপার ওভারে গড়ায় খেলা। মালিঙ্গার অসাধারণ বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
সোমবার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ম্যাচেও তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয় সুপার ওভারে। আগে ব্যাট করে ১৩৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষকেও এই রানে আটকে রাখে ক্যারিবীয় শিবির।
সুপার ওভারে রস টেলরের ব্যাটিংয়ে ১৭ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। জয়ের স্বপ্ন তাদের হাতছানি দেয়। কিন্তু টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা দুই ব্যাটসম্যান হিসেব বদলে দেন। ক্রিস গেইল এবং মারলন স্যামুয়েলস এক বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে। সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যত না ভালো খেলেছে তারচেয়ে বেশি খারাপ বোলিং করেছেন টিম সাউদি। প্রথম বলে নো। হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমান ছাড়া করেন গেইল। একটি ওয়াইডও দিয়েছেন সাউদি। এখানেই হেরে যায় নিউজিল্যান্ড।