বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মিয়ানমারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জানিয়েছেন, জনগণ ভোট দিলে অং সান সু চিও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে নিজের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে তিনি ও সু চি এক সঙ্গে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন থেন সেইন।
জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান প্রদর্শন করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জনগণ যাকেই পছন্দ করবে তিনিই সরকার গঠন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে জনগণের রায় পেলে সু চিও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিয়ানমারের বর্তমান বেসামরিক সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনরত থেইন সেইন দেশটির সাবেক শাসক চক্র সামরিক জান্তা গোষ্ঠীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা এ সামরিক জান্তা গোষ্ঠী দীর্ঘ চার দশক ধরে স্বৈরাচারীভাবে মিয়ানমারকে শাসন করে এসেছে। তবে পরবর্তীতে তথাকথিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এর প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত হন থেইন সেইন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে গত সপ্তাহ পর্যন্ত কাগজ কলমে অনাকাঙ্খিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত থেইন সেইন অনেকটা উৎফুল্লভাবেই নিউইয়র্ক নগরীতে বিবিসির প্রতিনিধিকে সাক্ষাতকার দেন। এর দুই দিন আগেই অবশ্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি। নিজের ভাষণে তিনি মার্কিন কংগ্রেসনাল পদক লাভ করায় সু চিকে অভিনন্দন জানান।
বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সু চি প্রেসিডেন্ট হলে তার তরফে কোনো সমস্যা নেই। তবে একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র পালন অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ, দেশটিতে বর্তমানে একটি বেসামরিক সরকার ক্ষমতাসীন থাকলেও সেনাবাহিনী মিয়ানমারের পার্লামেন্টের উল্লেখযোগ্য আসন নিজেদের কব্জায় রেখেছে। বিশ্লেষকদের মতে বেসামরিক সরকারের লেবাসে সেনাবাহিনীই মূলত মিয়ানমারকে পরিচালনা করছে।