লিবীয় সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে বেন গাজী ও ত্রিপোলি নগরীতে অস্ত্র সমর্পণ করেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাদ্দাফি বিরোধী সাবেক যোদ্ধা।
সমর্পিত অস্ত্রের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, বিমান বিধ্বংসী কামান, রকেট লঞ্চার এমনকি ট্যাংকও আছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে লিবীয়দের প্রতি অস্ত্র সমর্পনের আহবান জানায় সরকার।
উল্লেখ্য, স্বৈরশাসক কর্নেল গাদ্দাফি বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়া লিবীয় নাগরিকদের মধ্যে এখনও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রয়ে গেছে। অস্ত্রধারী বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ এখনও লিবিয়ার ক্ষমতার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এদের ওপর লিবিয়ার বর্তমান দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ খুব সামান্যই প্রতিভাত হয়।
তবে ইসলাম বিরোধী চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সংঘটিত বিক্ষোভ ও সহিংসতায় বেনগাজীতে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্স নিহত হওয়ার পর লিবিয়ার অন্তর্বতীকালীন নেতা মোহাম্মদ মাগরাফি সব অবৈধ মিলিশিয়া গ্রুপকে নিরস্ত্র করার ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই মূলত অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন ঘটতে থাকে। লিবিয়ার সাধারণ জনগণ মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এমনকি একটি মিলিশিয়া গ্রুপকে বেনগাজীতে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি থেকে উচ্ছেদ করে স্থানীয় জনগণ।
বেনগাজীতে অস্ত্র সমর্পন অনুষ্ঠানের আয়োজক আহমেদ সালেজ জানান প্রায় ৮শ’ সাবেক যোদ্ধা তাদের অস্ত্র সমর্পন করেছেন। পাশাপাশি ত্রিপোলিতে সমর্পিত অস্ত্রের মধ্যে দুটি ট্যাংকও ছিলো বলে জানা গেছে। নগরীর শহীদ স্কয়ারে দুই শতাধিক বিদ্রোহী তাদের অস্ত্র সমর্পন করে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
ধারণা বরা হয় এখনও ২ লাখ লিবীয় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত। জনগণকে নিরস্ত্র করার জন্য এর আগেও সরকার চেষ্টা চালায় তবে তাদের প্রচেষ্টা খুব কমই সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়।
অস্ত্র সমর্পনের পর সাবেক অস্ত্রধারী মুসা ওমর বলেন, “আজকের পর থেকে আমার অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। সশস্ত্র মিলিশিয়ারা বেনগাজী থেকে উৎখাত হয়েছে এবং সেনাবাহিনীই এখন থেকে আমাদের নিরাপত্তা দেবে।”