বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর স্থায়ী সদস্য এবং দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার আহমাদ কামরুল মীজান গত ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২ আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাচসাস গভীরভাবে মর্মাহত এবং শোকাহত।
বাচসাস তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে।
শুরুতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন বাচসাস-এর সিনিয়র সদস্য আহমাদ আজাদ। এরপর আহমাদ কামরুল মীজানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণ সভায় আহমাদ কামরুল মীজান-এর স্মৃতিচারণমূলক আলোচনায় অংশ নেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী, চলচ্চিত্র গবেষক ও সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আলিমুজ্জামান, সাংবাদিক ও নাট্যকার অরুণ চৌধুরী, পাক্ষিক তারকালোক-এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাকীর হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক আহমাদ আজাদ, পাক্ষিক প্রিয়জন-এর নির্বাহী সম্পাদক লিটন রহমান, দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, বাচসাস-এর সিনিয়র সহসভাপতি লিটন এরশাদ, সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, সহ সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান দর্পণ, অর্থ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈকত সালাহউদ্দিন, বাচসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস, বাচসাস সদস্য যথাক্রমে দিলদার হোসেন, মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, সৌমিক হাসান সোহাগ, মনিরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন জামাল, দুলাল খান, এস এম ইকবাল রুমী, নাট্যকার ও বাচসাস সদস্য অরণ্য আনোয়ার এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোল্লা জালাল ও মিসেস আহমাদ ডিনা।
স্মরণ সভার সভাপতিত্ব করেন বাচসাস সভাপতি আবদুর রহমান। স্মরণ সভা পরিচালনা ও সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান।
উল্লেখ্য আহমাদ কামরুল মীজান ১৯৮৫ সালে প্রথমে মাসিক নিপুন পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে আনন্দপত্র, তারকালোক, পাক্ষিক তারকা কাগজ, প্রিয়জন, বলা না বলা ও সর্বশেষ দৈনিক ইনকিলাবে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাচসাস ছাড়াও তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এবং স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।