কুরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জে গরুর দালালদের ব্যবসা এখন তুঙ্গে। একদিকে চাঁদা আদায় অন্যদিকে গরু করিডোর করার নামে চলছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। আর তা না হলে ব্যবসায়ীদের করা হচ্ছে নানাভাবে হয়রানি।
সরজমিনে দেখা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউপির মাসুদপুর, ঠুঠাপাড়া, রঘুনাথপুর, সিংনগর, মনোহরপুর ও মনাকষা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা গরু একটি সিন্ডিকেট করিডোর না করে লাখ লাখ টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে এবং গরু ব্যবসায়ীদের চরমভাবে হয়রানি করছে।
সূত্রমতে, গত ৫ সেপ্টেম্বর দেড় হাজার, ১২ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৩ হাজার ও ২২ সেপ্টেম্বর প্রায় ৭ হাজার গরু ভারত থেকে নদী পথে আমদানি করা হলেও এ পর্যন্ত করিডোর হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। বাকি সাড়ে ৬ হাজার গরু বিনা করিডোরেই চলে গেছে।
ওই চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন ম্যানেজের নামে গরুপ্রতি ৮শ’ টাকা করে আদায় করছে। সিন্ডিকেটের ভাষ্য মতে, ওই ৮শ’ টাকার মধ্যে ৪শ’ টাকা প্রশাসন বাবদ ও ৪শ’ টাকা গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা বাবদ নেওয়া হয়।
তবে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে পুরো বিষয়টিই তাৎক্ষণিক অস্বীকার করেন তারা।
এ ব্যাপারে ৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনজুরুল আলম পিএসসি বলেন, “ভারত থেকে গরু আমদানির ক্ষেত্রে বিজিবির নামে কোনো টাকা আদায় করা হচ্ছে না। বিজিবি জোয়ানরা শুধু গরু করিডোর ও নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করছে।”
বিষয়টি নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ জেড এম শারজিল হাসান বলেন, “সিন্ডিকেট সম্পর্কে কিছু জানি না এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্যও কোনো খরচ নেই। প্রশাসনের নামে কেউ কোনো ধরনের টাকা আদায় করলে এর দায় দায়িত্ব তাদেরই।”
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) জমির উদ্দিন বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করা হয়নি।”
এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের সভাপতি তোজাম্মেল হক বলেন, “আমরা কোনো সিন্ডিকেট করিনি, শুধু গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য একটি সমিতি গঠন করেছি। কোনো ধরনের অবৈধ টাকা আদায় করছি না। বরং সরকারি রাজস্ব আদায়ের জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ফলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।”