নবদম্পতি আসিফ ও নীপা মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে কক্সবাজার। প্রাণোত্তাপে ভরা দু’জন মানুষ দু’জনাকে জানার অপার আগ্রহ অনুভব করে। যাত্রার শুরুতেই নীপা আসিফের কাছে জানতে চায়, বিয়ে-পূর্ববর্তী জীবনে অন্য কারও সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা। আসিফ প্রথমে অস্বীকার করলেও নীপার জোর আগ্রহে নিজের না বলা কথাগুলো শুরু করে।
চেতনার গভীর থেকে গভীরে গিয়ে নিজেকে নীপার কাছে উন্মোচনের চেষ্টা করে আসিফ। নীপাকে নিজের অতীত সম্পর্কের কথা বলেও সবটুকু বলতে ব্যর্থ হয়। এবার শুরু হয় নীপার বলার পালা। নীপা এক রকম বাধ্য হয়েই নিজের কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু নীপা নিজের কোনো কথাই লুকায় না আসিফের কাছে। নীপা জানায়, বিয়ের আগে তার জীবনে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা জানলে এই মুহূর্ত থেকে হয়তো বা তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটবে। আসিফ তাও শুনতে চায়। নীপা তাকে বলে, বিয়ের আগে আকস্মিক এক দুঘর্টনায় তার ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা। এভাবে গল্পটি এগুতে থাকে।
কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়’। এই টেলিছবিতে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন শাহ্জাদা মামুন। ঢাকা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে এ টেলিছবিটি। এতে আসিফ নামের এক যুবকের চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।
এ টেলিছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘অসাধারণ একটি চরিত্র এটি। আমার খুব পছন্দের কবি জীবনানন্দ দাশ। তার কবিতার একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারছি। এটাই অনেক বেশি আনন্দের।’