চট্রগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বেসরকারি ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
শুক্রবার বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘বন্দর অচল’ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘বন্দরকে ঘিরে এ ধরনের মারমুখী পরিস্থিতি বিরাজ করলে বন্দরের সার্বিক দক্ষতা ও সক্ষমতা, সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ ও স্বাভাবিক গতি নিশ্চিতভাবেই ব্যাহত হবে। আর এর মাশুল দিতে হবে তৈরি পোশাক শিল্পকেই।’’
তিনি বলেন, ‘‘পোশাক শিল্প একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর শিল্প। সুতরাং কোনো কারণে বন্দর অচল হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উদ্যোক্তারা হতোদ্যম হয়ে পড়বেন, যা অশুভ শক্তিকেই প্রকারান্তরে উৎসাহিত করবে।’’
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘‘জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় অনতিবিলম্বে বন্দরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সকল বিরোধের অবসান হবে এবং বন্দরে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি স্বস্তিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকবে’’ বলেও আশা প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ।