চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন শেখ রাসেলের

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন শেখ রাসেলের

‘আগের মৌসুমগুলোতে চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দেওয়ার লক্ষ্যে দল গড়েছি আমরা। এবার আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’ খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করাতে এসে বলছিলেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ৬৬তম জন্মদিনকেই প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় নিবন্ধনের জন্য বেছে  নেয় শেখ রাসেল। ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি ও শতাধিক মোটর সাইকেলের র‌্যালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন করে বাফুফে ভবনে আসে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দল বদলের জন্য বিশেষ দিনটির কথা আলাদা করে বললেনও ক্লাব সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীও, ‘আজ (শুক্রবার) একটি বিশেষ দিন। ক্রীড়ানুরাগী ও ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার জন্মদিন। তাই একদিনে দু’টি উৎসব করার সুযোগটি হাতছাড়া করতে পারলাম না।’

২০০৩ সালে প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার অংশ নিয়েই রানার্সআপ শেখ রাসেলের পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ সাফল্য তৃতীয় স্থান। পেশাদার লিগে টানা তিনবার তৃতীয়স্থান ও গত মৌসুমে পঞ্চমস্থানে থাকা শেখ রাসেল এবার সেই বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়। সেই লক্ষ্যেই এবার ভালো দল গঠনে বিশেষ মনোযোগী তারা।

শিরোপা লক্ষ্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে ক্লাব সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতবার এক অনুষ্ঠানে আমাদের বলেছিলেন শেখ রাসেল কবে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমরা মনে করেছি ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এটি আমাদের জন্য একটি বার্তা। ওনার সেই বার্তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্যই আমরা অতীতের চেয়ে আরও ভালো দল গঠন করেছি।’

দলের অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশসেরা সকল খেলোয়াড়কে একসঙ্গে জড়ো করে শেখ রাসেল যে সম্মান আমাদের দিয়েছে খেলোয়াড়দের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করে সেই সম্মানের প্রতিদান দেওয়ার।’

এদিকে জাতীয় দলের ৮ খেলোয়াড় নিয়ে গড়া শেখ রাসেল এবার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও মুক্তিযোদ্ধা থেকেই সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় ক্লাবে ভিড়িয়েছে। মামুন মিয়া, নাসির, লিংকন ও জাহিদ আবাহনী থেকে এবং এমিলি, মিঠুন, রেজা, রাজন মিয়া ও মামুনুল মুক্তিযোদ্ধা থেকে রাসেলে নাম লিখিয়েছেন। এছাড়া ভিক্টোরিয়া, টিম বিজেএমসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন থেকে একজন করে এবং গতবার দলে থাকা ১০ খেলোয়াড়কে নিয়ে দল গঠন করেছে ক্লাবটি।

শেখ রাসেলের নাম লিখানো তিন বিদেশির মধ্যে মরক্কোর দুইজন ও হাইতির এক খেলোয়াড় রয়েছেন। মরক্কোর দুই খেলোয়াড় হচ্ছেন আবু কাসেম (স্ট্রাইকার) ও তারিক আল জানাবি (মিডফিল্ডার)। অপর খেলোয়াড় হচ্ছেন হাইতির সনি নোরদে (মিডফিল্ডার)।

দল-বদল অনুষ্ঠানে পেশাদার লিগ কমিটির সভাপতি সালাম মুর্শেদীর হাতে ২২ স্থানীয় খেলোয়াড়ের নিবন্ধনের ফরম তুলে দেন শেখ রাসেল সভাপতি।

শেখ রাসেল দল: বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, মোহাম্মদ নেহাল, গোলাম মোস্তফা তুরান (গোলরক্ষক), আমিনুল ইসলাম, উত্তম কুমার বনিক, রেজাউল করিম রেজা, মামুন মিয়া, নাসিরুল ইসলাম নাসির, লিংকন, বাপ্পী হাসান মুরাদ, নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর রানা (ডিফেন্ডার), জাহিদ হোসেন, মামুনুল ইসলাম, ইমন মাহমুদ বাবু, রাজন মিয়া, ইমরুল হাসান ইমু ও মোহাম্মদ সুজন (মিডফিল্ডার), জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন ও সোহেল রানা (স্টাইকার)

খেলাধূলা