গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৬তম জন্মদিন আজ (২৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার)। তিনি বাংলাদেশের ৯ম জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।
বাংলাদেশের স্থপতি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা।
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ (তিন-চতুর্থাংশ আসনে) বিজয় অর্জনের পর ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন তিনি।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়।
ওই বছরের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে তারা। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ থানার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। এখনো তিনি সেই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
বিদেশে থাকতেই ১৯৮১ সালে ৩৪ বছরেরও কম বয়সে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সময় তিনি নতুন দিল্লিতে ছিলেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে তিনি ১৭ মে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
তাঁর শৈশবকাল কাটে পিত্রালয়ে। ১৯৫৪-এর নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা বাবা-মার সঙ্গে চলে আসেন ঢাকায়। শৈশব থেকেই শেখ হাসিনা ছিলেন বাবা-মা ও দাদা-দাদির আদরের সন্তান। আদর করে সবাই তাঁকে ‘হাসু’ বলে ডাকতেন। সেই হাসুই দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পাড়ি দিয়ে ছাত্রনেত্রী থেকে দেশের জননেত্রীতে পরিণত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী। পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল শিশু মনোবিজ্ঞানী। দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। ৯ মে ২০০৯ তারিখে এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইন্তেকাল করেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে জনগণের কাছে সাহসী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে আছেন তিনি। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আর দেশি-বিদেশি বহুমুখী ষড়যন্ত্র ও মৃত্যুর কালো ছায়া নিরন্তর তাড়া করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
এর মধ্যেও জীবনবাজি রেখে দারিদ্র্যমুক্ত প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত আছেন তিনি।
প্রতি বছরের মতো এবারও রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় ছাত্রনেত্রী থেকে জননেত্রীতে পরিণত হওয়া শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপিত হবে, তবে তা অতি সাধারণভাবে।
গত বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে থাকছেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে আছেন তিনি।
এদিকে, সভানেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেÑ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সকাল থেকে কোরআন তেলাওয়াত, বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা ও নির্বাচনী এলাকায় শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ ছাড়া তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ‘মিজান পাবলিশার্স’-এর আয়োজনে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বই উৎসব শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩টি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন শেখ হাসিনা। তিনি নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং সংবিধানের ৫১ ও ৫৬ ধারা অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ঘোষণা প্রদান করেন।
পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি-শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে সংগঠিত করেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়া চালুর জন্য তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। তার আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে নির্বাচিত হয় এবং ২৩ জুন ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। সে সময়কার তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছেÑ ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন, সর্বোচ্চ পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদপূর্তির পর ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তাঁর দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেই সময় তাঁর দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এবং তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং শান্তির স্বপক্ষে জনমত গড়ে তোলেন।
শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তাঁর উপর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলাটি হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় বৃষ্টির মতো এক ডজনেরও বেশি শক্তিশালী গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এ সুপরিকল্পিত হামলায় তাঁর দেহরক্ষী এবং আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী আইভি রহমান-সহ তাঁর দলের ২৪ জন নেতা কর্মী নিহত হন এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে মারাত্মকভাবে আঘাত পান।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে ওই বছরের ১৬ জুলাই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা দিয়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো কারাবন্দি হন তিনি।
সে সময় তিনি সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগারে বন্দি ছিলেন। প্রায় এক বছর (১১ মাস) জেলে থাকার পর দেশ ও দেশের বাইরের প্রবল জনমতের কারণে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১১ জুন ২০০৮ সালে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে এর আগেও কয়েক দফা গৃহবন্দি হয়েছেন তিনি।
এ অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি তাঁকে ডক্টর অব ল’ ডিগ্রিতে ভূষিত করে। জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি ১৯৯৭ সালে ৪ জূলাই তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রিতে ভূষিত করে।
এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারটি এবং যুক্তরাজ্যের ডানডি ইউনিভার্সিটি ১৯৯৭ সালে তাকেম ‘ফিলোজফি ইন লিবারেল আর্টসে’ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি-ভূষিত করে। ১৯৯১ সালের ২৮ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ‘বিশ্ব ভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘দেশিকোত্তম’ সম্মানে ভূষিত করে।
দেশ ও সমাজে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর অসাধারণ অবদানের জন্য ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি তাকে ২০০০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন।
২০০০ সালে ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটি শেখ হাসিনাকে মানবাধিকার বিষয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আসামান্য অবদান রয়েছে। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তাঁর উল্লেযোগ্য অবদানের কারণে ১৯৯৮ সালে ইউনেসকো তাকে ‘হাটপাউয়েট-বোজনি’ (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতারও জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উমেনস কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিলে মর্যাদাসূচক (Pearl S. Buck 99 )পুরস্কারে ভূষিত করে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাঁর ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে সম্মানজনক চেরেস্ (CERES) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার টেরেসা’ পদক প্রদান করে। বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রসারে তাঁর অবদানের জন্য নরওয়ের ওসলোতে অবস্থিত মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ‘গান্ধী পদক’ প্রদান করে।
১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে Paul Haris ফেলোশিপ প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ÔMadel of DistinctionÕ পদক ও ১৯৯৬ -৯৭ সালে ÔHead of StateÕ পদক লাভ করেন।
২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে বাংলা ভাষার ধারক ও বাহক হিসেবে বাংলা একাডেমী তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
এ ছাড়া ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টর অব লিটারেচার বা ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে।
সাহিত্যানুরাগী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিষয়ে রচনা করেছেন অনেক গ্রন্থ। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : ‘ওরা টোকাই কেন’; ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’; ‘দারিদ্র বিমোচন, কিছু ভাবনা’; ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’; ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’; ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’; ‘বিপন্ন গণতন্ত্র : লাঞ্ছিত মানবতা’; ‘সহে না মানবতার অবমাননা’; ‘বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন’।
তিনি বেশ কয়েকবার পবিত্র হজ্ব ও ওমরাহ্ পালন করেছেন। তিনি ‘জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর সভাপতি। ২০১০ সালের ৮ মার্চ বিশ্ব নারীদিবসের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন ক্ষমতাধর ৮ এশীয় নারীর তালিকা প্রকাশ করে। ঐ তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা।
৬৬তম জন্মদিনে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা। তিনি আনন্দপূর্ণ নিরাপদ জীবন যাপন করুন।