বন্ধুত্বের নীতিতে বিশ্বে শান্তি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

বন্ধুত্বের নীতিতে বিশ্বে শান্তি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৮ বছর আগে জাতিসংঘে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, এ নীতিতে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার এবং অবিচারকে মানবতার ইতিহাসে লজ্জাজনক অধ্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‍“এ পরিস্থিতি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে হতাশা এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুবিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্যালেস্টাইনসহ অন্যান্যস্থানে এ সব সমস্যার সমাধান জরুরি।”

নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ( বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সারাদেশে বোমাবাজিতে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ওই সময়। আমিও ওই সময় আহত হয়েছিলাম।”

গত চার দশক ধরে দেশের জনগণের কল্যাণেই তার রাজনীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা, ভারতের সঙ্গে আন্তঃনদী সংযোগসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি।”

তার সরকার সুবিচার, সুশাসন সমানবাধিকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা অব্যাহত রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জিডিপি বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার আগে শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সরকার সফলতা অর্জন করেছে।”

বিভিন্ন বিষয়ে সকল দেশের সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের কিছু সংস্থার সংস্কার করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ ৬৭তম অধিবেশনের সাধারণ পরিষদের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাধারণ পরিষদের সভাপতি নাসির আল আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. একে মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য দেন।
Sheikh-Hasina_-Barack-Obama
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় জাতিসংঘের বাইরে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।

বিএনপির নেতাকার্মীরা কালো পতাকা উড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারে পদত্যাগ দাবি করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার উল্লেখ করে স্লোগান দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৮ বছর আগে জাতিসংঘে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, এ নীতিতে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার এবং অবিচারকে মানবতার ইতিহাসে লজ্জাজনক অধ্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‍“এ পরিস্থিতি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে হতাশা এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুবিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্যালেস্টাইনসহ অন্যান্যস্থানে এ সব সমস্যার সমাধান জরুরি।”

নিউইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ( বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সারাদেশে বোমাবাজিতে হত্যাযজ্ঞ চলেছে ওই সময়। আমিও ওই সময় আহত হয়েছিলাম।”

গত চার দশক ধরে দেশের জনগণের কল্যাণেই তার রাজনীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা, ভারতের সঙ্গে আন্তঃনদী সংযোগসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছি।”

তার সরকার সুবিচার, সুশাসন সমানবাধিকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা অব্যাহত রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জিডিপি বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার আগে শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সরকার সফলতা অর্জন করেছে।”

বিভিন্ন বিষয়ে সকল দেশের সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের কিছু সংস্থার সংস্কার করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ ৬৭তম অধিবেশনের সাধারণ পরিষদের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাধারণ পরিষদের সভাপতি নাসির আল আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. একে মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য দেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় জাতিসংঘের বাইরে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।

বিএনপির নেতাকার্মীরা কালো পতাকা উড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারে পদত্যাগ দাবি করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার উল্লেখ করে স্লোগান দিয়েছেন।

বাংলাদেশ