‘সিরিয়ার বেসামরিক মানুষের রক্তপাত বন্ধ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার কারণে আরব বিশ্বেরই উচিত সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করা’, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয়, মানবিক এবং সামরিক কর্তব্য হিসেবেই আরবদেশগুলোর উচিত বেসামরিক রক্তপাত বন্ধে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করা।’
নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে কাতারি আমির আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়েও সিরিয়ায় রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন সম্ভব।’
পাশাপাশি সিরিয়া প্রশ্নে কোনো কার্যকর অবস্থান গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেরও সমালোচনা করেন তিনি।
ভাষণে তিনি বলেন,“আমি মনে করি সিরিয়ার রক্তপাত বন্ধে জাতীয়, মানবিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক কর্তব্যের খাতিরেই আরব দেশগুলোরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমারা সরাসরি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আবার নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার মিত্র চীন ও রাশিয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ক্ষমতা থেকে অপসারণে কার্যকর প্রস্তাব পাশ করতে ব্যর্থ।’
তিনি লেবাননের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন,“৭০ এর দশকের মধ্যভাগে যখন লেবাননে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে হানাহানিতে লিপ্ত ছিলো তখন আরব দেশগুলো একই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো।” সেই পদক্ষেপ সফলতার সঙ্গে কার্যকর হয়েছিলো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি সিরীয়রা যতক্ষণ পর্যন্ত আইনসম্মত অধিকার ফিরে না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান।