পাকিস্তানের কাছে গ্রুপের শেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৮৪ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তার অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ১৭৫ রানের সংগ্রহ নিয়েও খেলায় জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে আট উইকেটে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। দলের এমন পরাজয়ে অনিন্দ্য ইনিংস খেলেও তৃপ্তি পাচ্ছেন না সাবেক অধিনায়ক। বিশ্বকাপ ভেন্যু শ্রীলঙ্কা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ান হওয়ার আগে বাঁহাতি অলরাউন্ডারে কন্ঠে ছিলো হতাশা। সাকিবের সাক্ষাৎকারটি সংক্ষিপ্তাকারে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: এমন একটা ইনিংস খেলার পর হেরে যাওয়া কতটা হতাশার?
সাকিব: খুবই হতাশার। দল না জিতলে এ ধরণের ইনিংস খেলে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যায় না। যদি আমার দিক থেকে চিন্তা করি তাহলে খুশি। কিন্তু দিন শেষে এটা দলীয় খেলা এবং হেরে যাওয়াটা হতাশাজনক।
প্রশ্ন: শতক করার কোন পরিকল্পনা ছিলো?
সাকিব: শতক করবো এমন কিছু মনে ছিলো। চেষ্টা ছিলো দলের জন্য যত বেশি স্কোর করা যায়। যতক্ষণ উইকেটে ছিলাম দলের জন্য খেলেছি।
প্রশ্ন: আপনার এই ইনিংসটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
সাকিব: যতটা মনে পড়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা আমার সেরা ইনিংস। এই ভার্ষনে শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছি। আমি খুশি।
প্রশ্ন: অন্যদের কাছ থেকে আরও কিছু রান এলে দলের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারতো কি না?
সাকিব: এরচেয়ে বেশি খেলার সুযোগ ছিলো না। তামিম এবং মুশফিকের সঙ্গে আমাদের যে জুটি হয়েছে তাতে আমি খুশি। তারা দু’জন আমাকে খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে।
প্রশ্ন: খেলাটা কোথায় হেরেছেন?
সাকিব: আমাদের সামনে দুটো সহজ উইকেট নেওয়ার সুযোগ এসেছিলো। কিন্তু আমরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারিনি। যদি তা করতে পারতাম তাহলে ১৭৫ রান চেজ করা তাদের জন্য সহজ হতো না।
প্রশ্ন: দুটো ম্যাচ খেলে কোন উইকেট পাননি। বোলিং নিয়ে কি কিছুটা চিন্তিত?
সাকিব: আমার মনে হয় আমি ভালো বল করেছি। পিচে স্পিনারদের জন্য কোন সুবিধা ছিলো না। আমার মনে হয় বোলিং ঠিকই আছে।