ইসলাম সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলার শিক্ষা দেয়। ইসলামী সমাজের সর্বত্রই শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, এমনটিই কাঙ্ক্ষিত। যে কারণে পারস্পরিক সংঘাত ও বিদ্রোহের বিরুদ্ধে ইসলামী বিধান অত্যন্ত কঠোর। যারা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, ‘অভিযোগ শুধু তাদেরই বিরুদ্ধে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায় বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য নির্ধারিত হয়ে আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। _সূরা শোআরা-৪২। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহপাক আমার কাছে ওহী পাঠিয়েছেন_ ‘তোমরা বিনয় প্রকাশ কর (এ জন্য), যাতে একজন আরেকজনের প্রতি বিদ্রোহ না কর এবং একে অপরের উপর দম্ভ প্রদর্শন না কর।’ _মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ। মানব সমাজ ও প্রকৃতিসহ বিশ্বের সব কিছু আল্লাহর নিয়মে পরিচালিত। এ নিয়ম ভঙ্গ করা ক্ষমাহীন অপরাধ। এক হাদিসে আছে, ‘যদি পাহাড় আরেক পাহাড়ের উপর চড়াও হয়, তবে চড়াও হওয়া পাহাড়কে আল্লাহ গুঁড়িয়ে দেবেন।’ সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সমাজ ও রাষ্ট্রকে দুর্বল করে। পরস্পরের সম্পর্ককে ক্ষুণ্ন করে। ইবনে মাজা ও তিরমিজি শরিফের এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আগ্রাসন তথা বিদ্রোহ ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন এবং আত্দীয়তা ছিন্ন করার ন্যায় পাপ আর নেই, যা পরলোকের শাস্তি ছাড়াও পার্থিব জীবনেই শাস্তি (গজব) অবধারিত করে দেয়।’ দাম্ভিক ও বিদ্রোহীদের পতন অনিবার্য। আল্লাহ নমরুদের দম্ভকে কিভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে তার উল্লেখ রয়েছে। কারুনের পরিণাম কি ভয়াবহ হয়েছিল তাও আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেছেন। যা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের এ ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকার তওফিক দান করুন।