রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ সহোদরসহ ৫ কর্মচারীকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আরিফ ব্যাপারী, শরীফ ব্যাপারী, সজিব ব্যাপারী, ফরহাদ হাওলাদার ও মো. সোহেল।
আসামিদের মধ্যে আরিফ ব্যাপারী, শরীফ ব্যাপারী ও সজিব ব্যাপারী তিন সহোদর। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি গ্রামে। তাদের পিতার নাম সিরাজ ব্যাপারী। আসামি ফরহাদ হাওলাদারের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার উত্তর কামারগাঁও গ্রামে। তার পিতার নাম আ. মালেক হাওলাদার। আসামি সোহেলের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার চামটা শালিকখালী গ্রামে। তার পিতার নাম আবু তালেব।
আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন এবং জামিনে থাকা আসামি ফরহাদ হাওলাদার ও সোহেলের জামিন বাতিল করে সকল আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত মামলাটির বিচারকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলার ঘটনায় প্রকাশ, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার নন্দীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামানের গার্মেন্টেস পোশাক তৈরির জন্য ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জের লাকি টাওয়ারের সামনের টিনশেডে কারখানা ছিল। কর্মচারীরা সেখানে কাপড় তৈরি করতেন।
২০১১ সালের ২৩ আগস্ট দুপুরে ভিকটিম নুরুজ্জামান কারখানায় বসে টাকা-পয়সা নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে হিসাব-নিকাশ করার সময় পূর্বশক্রতার জের ধরে আসামিরা কাপড় কাটার কেঁচি দিয়ে মাথায়, পাজরে, দুই হাতের বাহুতে ও পায়ের উরুতে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
গুরুতর আহত নুরুজ্জামানকে ঘটনার পর মিডফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার লিপি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।