নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কমলাকান্দা) আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সাংসদ জালাল উদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল রাতে টেলিফোনে এ কথা জানান।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জালাল উদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ হারাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। আর আওয়ামী লীগ হারিয়েছে একজন পরীক্ষিত ও দক্ষ সংগঠককে।”
বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে জালাল তালুকদারের ভূমিকার কথা উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতি তাকে চিরদিন গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ রাখবে।”
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী জালাল উদ্দিন তালুকদারের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সাংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বিবৃতিতে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদার-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে দলটির পক্ষে।
শোক বিবৃতিতে সাজেদা চৌধুরি বলেন, “মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার ছাত্র জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যোগদান করেন। আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী, দক্ষ, দেশপ্রেমিক, নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিককে হারিয়েছে।
জালাল উদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে দেওয়া এক শোকবার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার ছাত্র জীবন থেকেই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে স্বদেশভূমির স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠনে তদানীন্তন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে ও সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। জনগণের প্রতি অকৃত্রিম দরদ ও ভালবাসার কারণে জননন্দিত নেতা হিসেবে তাঁর এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।”
বিবৃতিতে তিনি মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদারের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।