ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা রুটে টিকিটের দাম এক লাফে ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিল ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা জেট এয়ার।
ওই রুটে বিমানের ফ্লাইট চলাকালে জেট এয়ার টিকিটের মূল্য বাড়ানোর সাহস করেনি। কিন্তু বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার পর তারা একলাফে ২০ হাজার টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দিল।
বিমানের না থাকার সুযোগে এই রুটে এখন এককভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে জেট এয়ার। আর তাই ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে কোনো কার্পণ্য করছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেট এয়ারের যোগসাজশেই দীর্ঘদিনের এই রুটটি বন্ধ করে জেট এয়ারকে ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে জেট এয়ারের ঢাকা অফিসের ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) শফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে তারা ভাড়া বাড়াননি। ধীরে ধীরে তারা ভাড়া বাড়িয়েছেন। আর তাদের ভাড়া সব সময়ই বিমানের চেয়ে বেশি ছিল।
ঢাকা-দিল্লী রুটে একমাত্র বিমান ও জেট এয়ারই ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করতো। হজের আগে বিমান ঢাকা-দিল্লী-ঢাকা, ঢাকা-করাচি-ঢাকা ও ঢাকা-হংকং-ঢাকা ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। এরপর জেট এয়ারই ঢাকা-দিল্লী রুটে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনাকারী একমাত্র বিমান সংস্থা। বর্তমানে জেট সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যেহেতু বিমান এই রুটে নেই, তাই একমাত্র ফ্লাইট পরিচালনাকারী হিসেবে জেট এয়ার সুযোগে এই অতিরিক্ত মুনাফা লুটতে নেমেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেট এয়ারে ঢাকা-দিল্লী রুটের রিটার্ন টিকেটের মূল্য ছিল ৪০ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত রিটার্ন টিকেটের মূল্য ছিল ৩৫ হাজার ৫০৭ টাকা।
এ বিষয়ে বিমানের সাবেক বৈমানিক ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এর সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক বলেন, “বিমান লোকসানের কারণে যেসব রুট বন্ধ করে দিয়েছে, সেসব রুটে অন্য এয়ারলাইন্স লাভ করছে। পেশাদার এয়ারলাইন্স সব সময়ই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে। জেট এয়ারও তাই করেছে।” তবে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিমানের উচ্চ পর্যায়ের কতিপয় কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।