দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয় তিনি হলেন আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ স্বয়ং নিজে রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সূরা আল কালামের ৪ নম্বর আয়াতে তিনি বলেছেন, ‘(হে নবী মুহাম্মদ) নিশ্চয়ই তুমি নীতি-নৈতিকতা ও উত্তম চরিত্রের সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত।’ আল্লাহ তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে রাসূল (সা.)কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের প্রতিভূ হিসেবে তিনি মানব জাতির সামনে তাকে উপস্থাপন করেছেন। মুসলমানদের কাছে আল্লাহর বাণীই হলো শেষ কথা। স্বয়ং আল্লাহ যাকে নীতি-নৈতিকতা ও উত্তম চরিত্রের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সে ব্যাপারে আর কারও সাক্ষ্যেরই প্রয়োজন নেই।
রাসূল (সা.) মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। মানুষের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন কীভাবে সুন্দরতম পর্যায়ে নেওয়া যায়, সে আলোকিত পথ বাতলে দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আল্লাহ মানব জাতিকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের আলোকিত পথ দেখাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে কোরআন নাজিল করেন। মানব জাতির জন্য গাইড লাইন হিসেবে স্বীকৃত কোরআনের জীবন্ত প্রতিকৃতি ছিলেন রাসূল (সা.)। তাকে অনুসরণ করলেই কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলা যায়। তাকে অনুসরণ করলেই মহান স্রষ্টা আল্লাহর হুকুমকে পালন করা হয়। রাসূল (সা.) পৃথিবীতে আবিভর্ূত হয়েছিলেন মানব জাতিকে আত্দনিগ্রহ ও আত্দবিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করার জন্য। কুসংস্কার ও হীনম্মন্যতার লজ্জা থেকে রেহাই দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি আবিভর্ূত হয়েছিলেন। মানব জাতিকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে আলোর পথে যেতে উৎসাহিত করেছেন তিনি। মানবতাকে স্বকীয় মর্যাদায় উদ্ভাসিত করেছেন আল্লাহর এই নবী। রাসূল (সা.) তার যাপিত জীবনের সর্বক্ষেত্রে শিষ্টাচার ও বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। দয়া ও মহানুভবতার উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত মহানবী (সা.)-এর অনুসারীদের সর্বক্ষেত্রে সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে। রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রমাণে তাঁর প্রদর্শিত জীবন বিধানকে আঁকড়ে ধরতে হবে মনে-প্রাণে।