ভারত-বাংলাদেশ ট্রান্সশিপমেন্ট ফের শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল,কয়লা ও ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে ৪টি জাহাজ ও একটি বার্জ আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙ্গর করেছে।
নৌপ্রটোকল চুক্তি অনুযায়ী এসব মালামাল ভারতের আসাম রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এ জন্য সরকার প্রতি বছর ১০ কোটি টাকা করে রাজস্ব পাচ্ছে। তবে, এসব মালামাল থেকে নতুন করে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আশুগঞ্জ নদীবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সুমন মিয়া।
নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মালবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দর রেখে সোমবার থেকে নদীপথে ছোট জাহাজে করে মালামাল ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের ২ বছরের জন্য নবায়নকৃত নৌ প্রটোকল চুক্তির এই প্রথম কোনো মালামাল ভারতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর এমবিবি ১১৬৫ জাহাজ ১ হাজার মেট্রিকটন সিমেন্ট কেমিক্যাল(ফ্লাইঅ্যাশ), ১৬ সেপ্টেম্বর এমভি গল্ফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের-৫ জাহাজ ১ হাজার মেট্রিকটনের কয়লা, এমভি গল্ফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের-৩ জাহাজ ১ হাজার ২শ ২৫ মেট্রিকটনের কয়লা ও একটি বার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভারী মালামাল আশুগঞ্জ বন্দরে পৌঁছেছে।
এছাড়া সোমবার সকালে এমভি মা রহিমা খাতুন নামে আরও একটি জাহাজ ৬শ ২ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙ্গর করেছে। ভারত-বাংলাদেশ নবায়নকৃত নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতের কলকাতার খিদিরপুর নদী বন্দর থেকে ৪টি জাহাজ সিমেন্ট কেমিক্যাল(ফ্লাইঅ্যাশ), কয়লা ও একটি বার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী মালামাল নিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরে আসে।
এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদী পথে আজমিরগঞ্জ-শেরপুর হয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ ও করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যে যাবে। আসামের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা ও সিমেন্ট ফ্যাক্টরির জন্য ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে মালবাহী ৪টি জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে রাখা হয়েছে।
এমভি গল্ফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহফুজ জানান, ১৯৭২ সালে নৌ প্রটোকলের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের জাহাজ দিয়ে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে মালামাল এনে আসাম রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এ জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বছরে ১০ কোটি টাকা করে রাজস্ব দিচ্ছে।