গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

লোভনীয় অফার দিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণফোনের সিইও টরে জনসেনসহ ১১ জন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার অ্যাডভোকেট এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদ নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী বাদি হয়ে মহানগর হাকিম মুনতাসির আহমদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়ে তা চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে পাঠিয়েছেন।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলেন, গ্রামীণফোনের সিইও টরে জনসেন, সিসিও কাজী মনিরুল কবির, সিএফও ফ্রিজফ রাসটেন, সিটিও তানভীর মাহমুদ, সিসিএও মাহমুদ হোসাইন, সিএমও অ্যালান বোংকে, নির্বাহী কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) আদনান কবির, ব্যবস্থাপক (হিসাব) সমীর জিৎ, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আশিক ঘাই, ঢাকার বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন টাওয়ারের অপারেটর রাজিব এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইনচার্জ মো. আরিফুজ্জামান।

বাদি এস এইচ এম হাবিবুর রহমান মামলার আর্জিতে বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রামীণফোনের একটি লোভনীয় অফারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মাত্র ২৫ পয়সায় প্রতি মিনিট জিপি থেকে জিপি নম্বরে কথা বলার জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে ৯৯৯৯ নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করেন তিনি। ৪০ মিনিটের এ সুবিধা প্রদানের জন্য তার কাছ থেকে গ্রামীণফোন কেটে নেয় ১১ টাকা ৫০ পয়সা।

কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের আধা ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামীণফোন তাদের দেয়া সুযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বাদি রেজিস্ট্রেশন করেও তার প্রাপ্য সুবিধা ভোগ থেকে বঞ্চিত হন। অথচ ঘোষিত অফার অনুযায়ী তার দু`দিন পর্যন্ত এ সুবিধা ভোগের মেয়াদ ছিল।

এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার সময় বাদি গ্রামীণফোনের ১২১ নম্বরে ডায়াল করে অপারেটর রাজিবের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। অপারেটর বাদির নম্বর চেক করে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে এ বিষয়ে তার কিছু করণীয় নেই বলে বাদিকে জানিয়ে দেন।

এ অবস্থায় বাদি গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক (নম্বর-০১৭১১৯৮৯৪০৮) হিসেবে এবং জনস্বার্থে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন বলে আদালতে দাখিল করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া এজাহারে বাদি নিজেকে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার সিইপিজেড গেইটের সামনে জাফর ভবনের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেছেন।

অর্থ বাণিজ্য