পাকিস্তানকে ঠেকাতে অনেক পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রয়োজনে একাদশেও পরিবর্তন আনা হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর তাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নেই। সেজন্য তাদের আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা থাকবে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম যেমন বললেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে কালকে শতভাগ দিয়ে খেলবো। আমাদের যে সামর্থ্য আছে তার ৬০ ভাগ খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে যদি শতভাগ খেলতে পারি তাহলে মনে হয় একটা ইতিবাচক ফল হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ভালো অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। আগে যে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে তাতে খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি বললেই চলে। এবারও খুব বেশি আশাও করা যাচ্ছে না। চাপ সামলে ভালো খেলতে পারলে যদি কিছু হয়।’
মুশফিকের মতে, ‘আমাদের জিতলেই হবে না। ৩৬ বা ৩৭ রানের ব্যবধানে জিততে হবে। পরে ব্যাট করলে ১৫ বা ১৭ ওভারে চেজ করতে হবে। সব কিছু নির্ভর করবে শুরুটা কেমন হচ্ছে তার ওপরে। আমাদের রানরেটটাও খেয়াল রাখতে হবে। সে ভাবে পরিকল্পনা করছি এবং সেভাবে একদাশ সাজাবো।’
খেলা হবে শ্রীলঙ্কান সময় রাত সাড়ে সাতটায়। উইকেটে পেস বোলিং বান্ধব হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অধিনায়কেরও তেমন ধারণা, ‘ফ্রেশ উইকেটে খেলা হবে। খেলতে হবে রাতে। আমার মনে হয় সিমিং ট্র্যাকই হবে। সেক্ষেত্রে আমরা দু’জন পেসার বাড়াতে পারি। আমাদের হাতে পেস বোলারও আছে, স্পিনারও আছে।’
পাকিস্তানকে আটকাতে হলে তাদের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে হবে। সে জন্য তৈরিও আছেন মুশফিকরা, ‘উনি (মুস্তাক আহমেদ) অনেক হেল্প করছেন আমাদের। সাঈদ আমল, ওমর গুল, মোহাম্মদ হাফিজ কিভাবে বল করে সে সম্পর্কে বলছেন। কিন্তু মাঠে আমাদের খেলতে হবে। আমরা যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে মজার একটা খেলা হবে কাল।’
অধিনায়কের থেকে একটু ভিন্নমত পোষণ করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ‘আমার মনে হয় না পেসার বাড়ানোর দরকার আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের পেসাররা কি করেছে। মাশরাফি চার ওভার শেষ করেছে। শফিউল তো তাও পারেনি।’
আশরাফুলের প্রিয় ভেন্যু শ্রীলঙ্কা। তার দ্বিতীয় হোমও বলা যায়। পাল্লেকেলেতে না খেললেও কলম্বোতে দারুণ কিছু টেস্ট ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ভালো ইনিংস উপহার দিতে চান তিনি, ‘এখানে খেলতে ভালো লাগে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসটাকে বড় করতে পারিনি। চেষ্টা করবো বড় একটা ইনিংস খেলতে। আমি একা খেললে হবে না। প্রত্যেকেকে সামর্থ্যরে ৭০ ভাগ দিতে হবে। তাহলে আমরা জিততে পারবো।’