রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাসিনা-থিন সিন বৈঠক চায় জাতিসংঘ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাসিনা-থিন সিন বৈঠক চায় জাতিসংঘ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে উৎসাহিত করছে জাতিসংঘ।  দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুর আশু সমাধান কামনা করছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।

আগামী মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আলোচনা। প্রথা অনুযায়ী জাতিসংঘ সনদে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে সাধারণ পরিষদের আলোচনা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন ২৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়।

দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে জাতিসংঘের নতুন অধিবেশন শুরু হয়। ৬৭তম অধিবেশনের বিভিন্ন প্লেনারি সেশন শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের সময় সম্পর্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের দিন ঠিক থাকলেও সময়ের পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ তাদের আগ্রহ ও উৎসাহের কথা তাকে জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। আর সাধারণ পরিষদের বিতর্ক চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত। বিশ্বের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা এবারের সাধারণ পরিষদে অংশ নেবেন। এর মধ্যে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান থাকবেন ১৭২টি দেশের।

এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এই প্রথমবারের মতো ‘আইনের শাসন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। এতে ১০৫ জন বক্তার মধ্যে ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান বক্তব্য রাখবেন। এই মূল বিষয়ের ওপরেই এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের ‘আইনের শাসন’ ইউনিটের পরিচালক এড্রিক সেলাস ৬৭তম অধিবেশন-পূর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আইনের শাসনকে তিনটি মৌলিক মানদণ্ডে ভাগ করা হয়েছে। ১. শান্তি, ২. নিরাপত্তা ও উন্নয়ন, ৩. মানবাধিকার। তিনি বলেছেন, “এসব শক্তিশালী করার মাধ্যমেই আমরা বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করি।”

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুক জেরেমি।

বাংলাদেশ