রোববার ইসলামী সমমনা ১২ দলের ডাকা হরতালের দিনে এসব দলের কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি দলগুলোর কার্যালয়েও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে কর্মীশূণ্য ইসলামী দলগুলোর কার্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারি।
পুরানা পল্টন আজাদ প্রোডাক্টস গলি ও নোয়াখালি টাওয়ারের আশপাশের গলিতে ভোর ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ইসলামী সমমনা ১২ দলের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
তবে ভোর ৫টা থেকেই এ ইসলামী আন্দোলন ও সমমনা ১২ দলের সংগঠনের কার্যালয়কে ঘিরে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রধান কার্যালয় নোয়াখালি টাওয়ারের সমনে দায়িত্বরত মতিঝিল থানার সাব-ইনেসপেক্টর মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মানুষের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ভোর ৫টা থেকে এখানে দায়িত্ব পালন করছি।
তবে এখন পর্যন্ত হরতাল সমর্থনকারীদের দেখা যায়নি। সব কিছুই শান্তিপূর্ণভাবে চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগের ইসলামী এ দলগুলোর কর্র্মসূচি থাকলে প্রধান কার্যালয়ে সাধারণত নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। কিন্তু রোববারের এ হরতালে তা লক্ষ্য করা যায়নি।
পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধ এভিনিউ, প্রেসক্লাব, ইত্তেফাক মোড় ও বাইতুল মোকাররমেও এখন পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে কোন ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
এছাড়া হরতালের সমর্থনে এসব এলাকাতে কোনো মিছিলও বের হয়নি এখন পর্যন্ত।
এদিকে ভোর থেকেই কিছু কিছু গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচলও বাড়ছে এমনটাই লক্ষ্য করা গেছে।
তবে প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত কোন ধরনের যান চলতে দেখা যায়নি। তবে যানবাহনের অপর্যাপ্ততার কারণে অনেককে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।