বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নিরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি জোরদার করতে হবে। ব্যাংকের সম্ভাব্য অপতৎপরতা খুঁজে বের করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর আর্থিক বিবরণী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন বিভাগের সংগৃহীত তথ্য থেকে অনিয়ম এবং জালিয়াতি প্রবণতা চিহ্নিত করতে অনলাইন ইলেকট্রনিক সুপারভিশন ড্যাশবোর্ড গঠন করা হবে।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক খাত তদারকি কার্যক্রম জোরদারের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে এই বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম পর্যায়ের ৭০ কর্মকর্তাসহ নির্বাহী পরিচালক এবং ডেপুটি গভর্নররা অংশ নেন।
সম্মেলনে গভর্নর বলেন, সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ব্যাংকিং খাতে সাময়িক বিরুপ ছায়া ফেললেও ওই ব্যাংক বা সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়নি। তবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোর সতর্কতা ও তৎপরতার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি কঠোরতর হলে এর পুনরাবৃত্তি নিরুৎসাহিত হবে।
আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতিতেও আমাদের ব্যাংকিং খাত বেশ ভালো অবস্থানেই রয়েছে। ব্যাংকগুলোর সামগ্রিক ১১.৩১ শতাংশ মূলধন পর্যাপ্ততা ব্যাসেল-২ ভিত্তিক ন্যূনতম ১০ শতাংশের আবশ্যকতার চেয়ে বেশি। ব্যাংকিং খাতে শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা বর্তমানে ৭.১৭ শতাংশে রয়েছে। আমানত ও ঋণের প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সন্তোষজনক। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডি বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং স্থিতিশীল বলেছে।
সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করবেন কর্মকর্তারা। পরে গ্রুপগুলো নিজ নিজ সুপারিশমালা উপস্থাপন করবে। আইএমএফের সৌজন্যে দু’জন সুপারভিশন বিশেষজ্ঞ আলোচনার সেশনগুলো অংশ নেবেন।