প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বিশ্ব দরবারে তৈরি হয় বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের নিভৃত কারাগারে অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হন। প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। বাঙালি জাতির বিজয়ের ফলেই জাতির পিতা আমাদের মধ্যে ফিরে আসেন।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়। বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলকারীরা গণতন্ত্র হত্যা করে, রুদ্ধ করে দেয় প্রগতি ও উন্নয়নের ধারা।
অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে কাং্খিত অগ্রগতির পথে। কোন অপশক্তি যাতে গণতন্ত্র
ও উন্নয়নের এ ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে, জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
সবশেষে সকলে মিলে জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক, সুখী-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণকর এবং শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহবান জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।