তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ে কোনো আইনি প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শিবালয় সমিতির ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তা বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। এর আগে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র নিশ্চিত হয় না।
তিনি বলেন, সবার উচিত, উচ্চ আদালতের রায়টি মেনে নেয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষর করার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই এমনটি হয়েছে। এতে আইনের কোনো নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
তিনি বলেন, খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি থাকার সময়েই এ রায়টি হয়েছে, তাই তিনি স্বাক্ষর করতেই পারেন। এর আগেও অনেক বিচারপতি এ ধরনের স্বাক্ষর দিয়েছেন। তাই এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিকভাবেই বর্তমানে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান রায়ে সুস্পষ্ট ব্যাখা রয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কিভাবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ চলে। তবে সংসদে প্রণীত যে কোনো আইন যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে সেটি বাতিল করার ক্ষমতা সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম আনোয়ারুল হক ও অধ্যাপক মাহফুজা খানম।