বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের জীবিকায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর বিশেষ ‘আর্থ কেয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ‘লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিস ফান্ড’ বা এলডিসিএফ প্রকল্প বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এ পুরস্কার প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকার বাসিন্দাদের পরিবেশ বান্ধব জীবিকার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করাই এলডিসিএফ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এতে অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করছে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ‘ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ বা ইউএনডিপি।
এলডিসিএফের বাস্তবায়নাধীন কর্মসূচি ‘কমিউনিটি বেসড অ্যাডাপটেশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ থ্রু কোস্টাল অফরেস্টেশনিং বাংলাদেশ’ এ বছর ‘কমিউনিটি বেসড অ্যাডাপ্টশন অ্যান্ড মিটিগেশন’ শিরোনামের বিশেষ ‘আর্থ কেয়ার’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
এলডিসিএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ‘বনায়ন,কৃষি,গবাদিপশু ও মৎস ভিত্তিক’ এ জীবিকায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮ হাজার ২৬৯ টি পরিবার উপকার লাভ করেছে।
গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির(জিইএফ) তথ্য অনুযায়ী এ কর্মসূচির কাংখিত ফললাভে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে ‘ফরেস্ট-ফিশ-ফ্রুট’ বা এফএফএফ মডেল বাস্তবায়ন। ‘মন্ড-ডিচ’ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রণীত এ কর্মসূচি জীবিকার বৈচিত্রকরণের মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ এবং উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে।
এফএফএফ মডেলের বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাছ চাষ, সেচ এবং পতিত জমিকে উৎপাদনক্ষম করে তোলা সহ আরও বিভিন্নমুখী আয়ের সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব। এর মাধ্যমে উপকারভোগী পরিবারগুলো বছরে কমপক্ষে অতিরিক্ত ১ হাজার ডলার আয় করতে সক্ষম।
এ ব্যাপারে জিইএফ প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারপারসন নায়েকো ইশি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে কাঙ্খিত ফললাভ সম্ভব যদি এতে সরকার এবং উপকারভোগীরা যৌথভাবে সম্পৃক্ত থাকেন। যার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ বাংলাদেশ।’
এ পুরস্কার প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন তিনি।