বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক তার দল তা মেনে নেবে। তবে নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় সম্পর্কে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খালেদা জিয়া। পরে সাংবাদিকরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন শেষ হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, ‘‘যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ ভোটের অধিকার ভোগ করতে পারবে।’’
‘‘আমরা চাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু এ সরকার একটি সাজানো, পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে, কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’’
সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আদালতের দেওয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি আন্দোলনে যাবে কিনা জানতে চাইলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘এ রায় যদি সংশোধন না করা হয়, তবে চলমান আন্দোলন তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হবে।’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে রায়-প্রদানকারী সাবেক প্রধান বিচারপতি সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘‘একজন বিচারপতি শপথ নিয়েই বিচারপতি হন। অবসর নেওয়ার পর সে শপথ তার আর থাকে না। তাই এ রায় দেওয়ার ক্ষমতা এ বিচারপতির ছিল না।’’
“দেশ কি আবার ওয়ান ইলেভেনের দিকে যাচ্ছে কি?’`–এ প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ই চেয়েছি, সাংবিধানিক ধারায় নিজেদের অব্যাহত রাখতে।’’
তবে “আরেকটি ওয়ান ইলেভেনের আশঙ্কা করছেন কিনা“—এই প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব এড়িয়ে যান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আর এ গনি, টি এইচ খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।