ডিএসই সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেনে ব্যাপক উন্নতি

ডিএসই সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেনে ব্যাপক উন্নতি

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সাধারণ সূচক ও  লেনদেন উভয়ই ব্যাপক বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক বেড়েছে ২৪৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট এবং  লেনদেন বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৪ হাজার ৪৩১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৭৮ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ২৪৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসইর সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ১০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৬৬ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৯ টাকা।

গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইর ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৩টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৮৮টির, কমেছে ৭২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ৬টি প্রতিষ্ঠানের।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে মোট ৫ কার্যদিবসের দৈনিক গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় এক হাজার ১১৭ কোটি ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮০২ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল ৮১৩ কোটি ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৯০ । অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এছাড়া ডিএসইতে বেড়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ১২৫ কোটি ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৬০২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ৮১ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার ১৭৭টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ওয়ান ফান্ড (৬০ দশমিক ০৬ শতাংশ দাম বাড়ে), প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড (৫৪ দশমিক ২৬ শতাংশ), গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম-২ (৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ), পিএইচপি ফার্স্ট মি. ফান্ড (৪৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ), ডিবিএইচ ফার্স্ট মি. ফান্ড (৪৩ দশমিক ১৪ শতাংশ), আইএফআইএল ইসলামিক মি. ফান্ড-১ (৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মি. ফান্ড  (৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ), আইসিবি এএমসিএল তৃতীয় এনআরবি মি. ফান্ড (৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ), ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মি. ফান্ড (৪১ দশমিক ০৭ শতাংশ) এবং এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মি. ফান্ড (৪০ দশমিক ৪২ শতাংশ)।

অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- জিপিএইচ ইস্পাত (১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ দাম কমেছে), ইস্টার্ন হাউজিং (৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ), নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স (৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), নাভানা সিএসজি (৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ), হাক্কানি পাল্প (৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ), জিবিবি পাওয়ার (৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ), আরএকে সিরামিকস  (৭ দশমিক ৬১ শতাংশ), ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং (৭ দশমিক ৫২ শতাংশ), বিডি থাই (৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ) এবং তিতাস গ্যাস (৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ)।

অর্থ বাণিজ্য