সি লায়নের সমুদ্রের গভীরে ডুব দেওয়ার রহস্য উন্মোচন

সি লায়নের সমুদ্রের গভীরে ডুব দেওয়ার রহস্য উন্মোচন

সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী সি লায়ন জলের গভীরে ডুব দিতে অদ্বিতীয়। কোনো ধরণের বাধা ছাড়াই এরা জলের ৩শ’ মিটারেও বেশি গভীরতা থেকে ঘুরে আসতে সক্ষম।

সম্প্রতি একটি ক্যালিফোর্নিয়া সি লায়নের সঙ্গে যুক্ত ডাটা লগার (উপাত্ত গ্রহণকারী যন্ত্র) থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সি লায়নের জলের গভীরে ডুব দেওয়ার গোপন তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। বায়োলজি লেটারে গবেষণা লব্ধ এ তথ্য উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানীরা।

প্রাণীবিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই ধারণা করে আসছেন সিল এবং সি লায়নের মত সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জলের গভীরে ডুব দেওয়ার সময় পানির চাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ফুসফুসকে সঙ্কুচিত করতে পারে।

সম্প্রতি এ ব্যাপারটিই পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা সি লায়নের ধমনী থেকে প্রবাহিত রক্তস্রোতে অক্সিজেনের চাপ বের করতে ওই সি লায়নে একটি ডাটা লগার সংযুক্ত করেন। সি লায়নের ফুসফুস সঙ্কুচিত হওয়ার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই সংযুক্ত করা হয় ডাটা লগারটিকে।

গত আগস্ট ২০১১তে ডাটা লগার সংযুক্ত সি লায়নের মোট ৪৮টি ডুব রেকর্ড করা হয়। প্রত্যেকটি ডুবের স্থায়ীত্ব হয় গড়ে ছয় মিনিট। এবং গড়ে প্রত্যেকবারই এটি সমুদ্রের ৩শ’ মিটারেরও বেশি গভীরতায় পৌঁছে যায়।

ডাটা লগারের উপাত্ত অনুযায়ী ২২৫ মিটার গভীরতায় নেমে নিজের ফুসফুস সঙ্কুচিত করে সি লায়নটি। আবার ওপরে ওঠার সময়ও একই গভীরতায় ফুসফুস প্রসারিত করে নেয় তারা।

সি লায়নের শ্বাসনালীর উর্ধাংশে জমা থাকা সংরক্ষিত অক্সিজেন ডুব শেষে ওপরে ওঠার সময় এর ফুসফুসকে আবারও প্রসারিত করতে সহায়তা করে।

ভবিষ্যতে প্রশিক্ষিত ক্যালিফোর্নিয়া সি লায়ন বিজ্ঞানীদের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আন্তর্জাতিক