গত সপ্তাহের শেষ দু’দিনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আবারো ব্যাপক দরপতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। রোববার ২৩১ পয়েন্ট নেমেছে সাধারণ সূচক। দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সপ্তাহ শেষে সাধারণ সূচক ২৩৬ পয়েন্ট কমেছিল।
বড় ধরনের দরপতনের প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ করেছেন ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। ডিএসই’র সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সোমবার থেকে লেনদেন বয়কট করতে সব বিনিয়োগকারীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সার্ভারে লগইন না করার অনুরোধ জানান তারা।
পাঁচ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে থাকা ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক ২৩১ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সার্বিক সূচক ১৯৬ পয়েন্ট কমে চার হাজার ২৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই২০ সূচক ১১০ দশমিক ২৭ পয়েন্ট পড়ে তিন হাজার ৭৬৩ দশমিক ৮১ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডিএসই’র সামনে অবস্থান নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বরাবরের মতো অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেন। তারা ডিএসই’র সভাপতির বিরুদ্ধেও বিভিন্ন স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও পরে আবার বিক্ষোভে অংশ নেন তার।
বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এ সময় ডিএসই’র সামনের রাস্থায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
রোববার লেনদেন হওয়া ২৫১টি ইস্যুর (কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড) মধ্যে ২৩৭টির দরই কমেছে। এ ছাড়া সাতটির দর বেড়েছে ও পাঁচটির অপরিবর্তিত ছিল।
এক লাখ দুই হাজার ২১১ হাওলায় হাতবদল হয় চার কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৫টি শেয়ার ও ইউনিট। এগুলোর বাজারমূল্য ছিল ৩৩০ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬ টাকা।
টাকার অংকে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ইস্যুগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফোন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মালেক স্পিনিং ও ওয়ান ব্যাংক।
দর কমার তালিকায় শীর্ষে ছিল- শমরিতা হাসপাতাল, প্রাইম টেক্সটাইল, মেট্রো স্পিনিং, ফু-ওয়াং সিরামিক, মালেক স্পিনিং, ফাইন ফুডস, সমতা লেদার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অগ্নি সিস্টেম ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ।
দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা সাতটি ইস্যু হলো- মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, এল আর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ষষ্ঠ আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), পাওয়ার গ্রীড, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
অপরিবর্তিত থাকা ইস্যুগুলো হলো- আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, এআইবিএল প্রথম ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ব্র্যাক ব্যাংক ২৫ কনভার্টিবল বন্ড, আইবিবিএল মুদারাবা পারপিচ্যুয়াল বন্ড, প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবি তৃতীয় এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।