পাটসহ পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক ছত্রাকের জন্মরহস্য (জেনোম সিকোয়েন্স) আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। সংসদে এ ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পরে সংসদের বৈঠক শুরু হলে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় সভাপতির আসনে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী।
এর আগে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে একদল গবেষক প্রথমবারের মতো পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কার করেন। বিশ্ব জুড়ে তা ব্যাপক আলোচিত হয়।
এদিন শেখ হাসিনা বলেন, “মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে আমাদের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর একটি ছত্রাকের জীবন রহস্য আবিষ্কার করেছেন।” ছত্রাকটির নাম ম্যাক্রোফোমিনা ফাসেওলিনা বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এতদিন বাংলাদেশ বিশ্ব জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে জ্ঞান ও তথ্য নিয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশও তথ্য সরবরাহ করবে।”
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঁচটি মেধাস্বত্ব (পেটেন্ট) আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১০ সালের ১৬ জুন এই সংসদে পাটের জেনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এরপর এ বিষয়ে সরকার আরো গবেষণার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ওই প্রকল্পের বিজ্ঞানীরাই ক্ষতিকারক ছত্রাকের জীবন রহস্য আবিষ্কার করেছেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম।” প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
তিনি বলেন, “এই ছত্রাকের জীবন রহস্য আবিষ্কারের ফলে পাটসহ পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদকে ছত্রাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।”
সংসদ নেতা আরো বলেন, “এতদিন বিশ্ব থেকে আমরা নিয়েছি। এখন বাংলাদেশ বিশ্বকে দিতে পারবে।”
প্রধানমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান। পরে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীও সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান।
ড. মাকসুদুল আলম ছাড়াও বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. সামিউল হক, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, এমদাদুল মান্নান এমদাদ, আবদুল হালিম, কাজী মো. মোসাদ্দেক হোসেন, মো জাকির হোসেন, বোরহান আহমেদ, সিফাতুর রহিম, মো. শরিফুর রহমান, মো. মনজুরুল আলম প্রমুখ। তাদের গবেষণাপত্রটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বায়ো জেনোমিক্স নামের একটি জার্নালে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।