১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া ঠিকাদারপাড়া লেনের ধলু মেকার তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাইরেন মেশিন তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ১৯৮৮ সালে তার রেখে যাওয়া রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের দায়িত্ব নেন চতুর্থ ছেলে আমির হোসেন। প্রতিভাবান বাবার ছেলে আমির ২০০৩ সালে পাথর ভাঙ্গা মেশিন তৈরি করে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। একই বছর তিনি উদ্ভাবন করেন স্বয়ংক্রিয় ইট তৈরির মেশিন| কম খরচে ইট তৈরি করা যায় বলে ভাটা মালিকদের কাছে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে আমির হোসেনের এই অটোব্রিকস মেশিন।
আমির হোসেনের অটোব্রিকস মেশিনটির বড় বৈশিষ্ট- এটি সহজে স্থানান্তর করা যায় এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াই যে কেউ এতে কাজ করতে পারেন। প্রায় ৩৫ ফুট বাই ২২ ফুট সাইজের এই মেশিনটি তৈরি করতে আমিরের খরচ পড়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
আমির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০০৩ সালে তিনি এই অটোব্রিকস মেশিন উদ্ভাবন করেন। ইলেকট্রিক ও ডিজেল দুই পদ্ধতিতেB মাত্র ১০ জন শ্রমিক এটি চালাতে পারে। এতে ঘণ্টায় ১২শ ইট তৈরি করা যায়| ৩৫ হর্স পাওয়ারের এই অটোব্রিকস মেশিনটি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা চালালে মাসে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় ৩ হাজার টাকা| আর তেলে চালালে ঘণ্টায় প্রয়োজন হবে প্রায় দেড় লিটার ডিজেল।িএকটি ইটভাটা চালানোর জন্য এমন তিনটি মেশিনই যথেষ্ট।
স্বল্প ব্যয়ে ইট উৎপাদনে সক্ষম অটোব্রিকস মেশিনটির আধুনিকায়নের জন্য বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন আমির। তবে কোনো ব্যাংকই সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। আমির হোসেনের দাবি, আর্থিক সহায়তা পেলে মাত্র ৩ বছরের মধ্যে অটোব্রিকস মেশিনটির পুরো আধুনিকায়ন সম্ভব। এর ফলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরা যাবে।