প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যবসা, বাণিজ্য ও আর্থিকখাতে একাধিক চুক্তির কারণে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত জেড মির্জাল জইনুদ্দিন মঙ্গলবার গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, তারা বন্ধু প্রতিম দুটি দেশের সম্পর্কোন্নয়নসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব্পূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং ঢাকা ও জাকার্তার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “ব্যবসা, বাণিজ্য ও আর্থিকখাতে একাধিক চুক্তির কারণে বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে জানান, দেশে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার একক সংখ্যায় নেমে এসেছে এবং খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া এ সময়ে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উল্লে¬খযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতন্ত্রের উন্নয়নে ডেমোক্রেসি ফোরামের (ডি-৮) বৈঠক আয়োজন করায় ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া সন্ত্রাস দমন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একযোগে কাজ করতে পারে।”
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে এবং দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সরকারের সহায়তার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময়ে অ্যাম্বাসেডার অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।